আকাশ, নৌ ও স্থল অভিযানের প্রস্তুতি ইসরায়েলের, সশস্ত্র গোষ্ঠীর উপপ্রধান নাঈম কাসেম আজ সোমবার এক ভাষণে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, যত দ্রুত সম্ভব সংগঠনের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন প্রধান নিয়োগ দেওয়া হবে।
গত শুক্রবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতের উপকণ্ঠে হিজবুল্লাহর সদর দপ্তরে ইসরায়েলের হামলায় নিহত হন এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। ওই ঘটনার পর শীর্ষ পর্যায়ের নেতা প্রথমবারের মতো জনগণের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন।
ভিডিও বার্তায় নাঈম কাসেম মন্তব্য করেন, ইসরায়েল তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না। আমরা যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করব। যদি ইসরায়েল স্থলপথে আগ্রাসনের সিদ্ধান্ত নেয়, আমরা প্রস্তুত রয়েছি। প্রতিরোধ বাহিনীগুলো স্থল হামলা মোকাবিলায় প্রস্তুত।
হিজবুল্লাহর উপপ্রধান জানান, অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শিগগির নতুন নেতা নিয়োগের কার্যক্রম শুরু হবে। তবে নতুন নেতা নির্বাচনের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
লেবাননে গত দুই সপ্তাহে একের পর এক হামলায় হিজবুল্লাহকে একাধিক ধাক্কা দিয়েছে ইসরায়েল, যার ফলে গোষ্ঠীর প্রধানসহ কয়েকজন কমান্ডার নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে লেবাননে স্থল অভিযান পরিচালনার সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ ইতিমধ্যে লেবানন সীমান্তে বিপুলসংখ্যক ট্যাংক জড়ো করা হয়েছে।
নাঈম কাসেম আরও বলেন, ইসরায়েল লেবাননের সর্বত্র হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। এমন কোনো বাড়ি নেই যেখানে তাদের আগ্রাসনের ছাপ নেই। তারা বেসামরিক লোকজন, শিশু, বয়োবৃদ্ধ এবং অ্যাম্বুলেন্সের ওপরও হামলা চালাচ্ছে; যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াইয়ের পরিবর্তে তারা হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে।
এই সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা তুলে ধরে হিজবুল্লাহর উপপ্রধান বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র সীমাহীন সামরিক সহায়তা দিয়ে ইসরায়েলের সহযোগীতে পরিণত হয়েছে।
কাসেম ভাষণের শেষে বলেন, আমরা জয়ী হবো, ঠিক যেভাবে ২০০৬ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে লড়াইয়ে আমরা জয়ী হয়েছিলাম।