16.1 C
Los Angeles
Saturday, October 12, 2024

বিশেষ সংবাদ Featured News

চাগোস দ্বীপপুঞ্জ মরিশাসের কাছে ফিরিয়ে দিচ্ছে যুক্তরাজ্য

চাগোস দ্বীপপুঞ্জ মরিশাসের,ভারত মহাসাগরে অবস্থিত সামরিক কৌশলগত...

ক্লাস করেনি বলে মেয়ের কক্ষকে জেলখানা বানালেন বাবা!

ক্লাস করেনি বলে মেয়ের কক্ষকে, একদিন অংক...

শরতের কাশফুলের সৌন্দর্যে ভরপুর পদ্মার তীর: রাজশাহীতে ভ্রমণকারীদের ভিড়

শরতের কাশফুলের সৌন্দর্যে,পদ্মা নদীর পাড়ে কাশফুলের সাদা...

ইসরায়েলি হামলায় নিহত হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ, নিশ্চিত করল সংগঠন

আন্তর্জাতিকইসরায়েলি হামলায় নিহত হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ, নিশ্চিত করল সংগঠন

ইসরায়েলি হামলায় নিহত,হাসান নাসরুল্লাহ (৬৪) ১৯৬০ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং লেবাননের বৈরুতের পূর্বাঞ্চলীয় উপকণ্ঠ বুর্জ হামুদ এলাকায় বেড়ে ওঠেন। তাঁর বাবা, আবদুল করিম, ছিলেন একজন সাধারণ সবজি বিক্রেতা। নাসরুল্লাহ ছিলেন পরিবারের ৯ সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে বড়।

১৯৭৫ সালে যখন লেবানন গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তখন নাসরুল্লাহ শিয়া মুভমেন্ট ‘আমাল’-এ যোগ দেন। পরে ১৯৮২ সালে তিনি এবং আরও কয়েকজন দলটি থেকে বেরিয়ে আসেন। ১৯৮৫ সালে হিজবুল্লাহ গঠিত হলে নাসরুল্লাহ এতে যোগ দেন এবং শিগগিরই সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে শুরু করেন।

হিজবুল্লাহ শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নকে ‘ইসলামের প্রধান দুই শত্রু’ হিসেবে চিহ্নিত করে এবং ইসরায়েলকে ধ্বংস করার ডাক দেয়, যাকে তারা মুসলিম ভূমি দখলকারী হিসেবে বিবেচনা করে।

১৯৯২ সালে মাত্র ৩২ বছর বয়সে নাসরুল্লাহ হিজবুল্লাহর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন, তাঁর পূর্বসূরি আব্বাস আল-মুসাবি ইসরায়েলের এক হেলিকপ্টার হামলায় নিহত হওয়ার পর। দায়িত্ব নেওয়ার পর নাসরুল্লাহ প্রথম কাজ হিসেবে মুসাবি হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে রকেট হামলার নির্দেশ দেন।

নাসরুল্লাহ ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে যুদ্ধেও নেতৃত্ব দেন। এক পর্যায়ে, ২০০০ সালে ইসরায়েলি সেনারা পিছু হটে এবং লেবানন ত্যাগ করে। তবে এই যুদ্ধ নাসরুল্লাহর জন্য ব্যক্তিগত ক্ষতি বয়ে এনেছিল, যুদ্ধে তিনি তাঁর বড় ছেলে হাদিকে হারান।

নাসরুল্লাহর নেতৃত্বে হিজবুল্লাহ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের পাশাপাশি ইরাক ও ইয়েমেনের মিলিশিয়াদের প্রশিক্ষণ এবং সামরিক সহায়তা দিয়েছে। ইরান থেকে সংগৃহীত ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেটের একটি শক্তিশালী ভান্ডার হিজবুল্লাহর রয়েছে, যা তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে।

প্রথমে দখলকৃত লেবাননি ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলি সেনাদের তাড়ানোর জন্য একটি মিলিশিয়া দল হিসেবে গড়ে উঠলেও, নাসরুল্লাহর অধীনে হিজবুল্লাহ লেবাননের সেনাবাহিনীর চেয়ে শক্তিশালী এক বাহিনীতে পরিণত হয়। বর্তমানে সংগঠনটি লেবাননের রাজনীতিতেও একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে প্রভাব বিস্তার করছে।

সর্বশেষ, ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করে। সেই সময় হামাসের রকেট হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গাজায় ভয়াবহ আক্রমণ শুরু করে। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে হিজবুল্লাহ মাঝেমধ্যেই ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ অঞ্চল এবং দখলকৃত গোলান মালভূমিতে রকেট হামলা চালায়।

সুত্র: এএফপি

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles