ইরান থেকে ছোড়া হয়েছে দুই শতাধিক মিসাইল,ইরান থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মিসাইল হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইরান ইসরায়েলের দিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে বলে সতর্কবার্তা দেওয়ার পরপরই এই হামলার খবর পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাত ১০টা ৩০ মিনিটের পর ইসরায়েলের দিকে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান, এমন দাবি করেছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম। সূত্রগুলো জানিয়েছে, এই হামলায় ইরান থেকে ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে দুই শতাধিক মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে, ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে, যার পরপরই ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে সাইরেন বাজতে শুরু করে। আতঙ্কিত ইসরায়েলিরা নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটতে থাকে। এমনকি, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারের সময় সাংবাদিকরাও মাটিতে শুয়ে পড়েন নিরাপত্তার জন্য।
এর আগে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সম্ভাবনা সম্পর্কে লোকজনকে সতর্ক করেছিল এবং এমন হামলার পরিস্থিতিতে নিরাপদ আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল।
লেবাননে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হওয়ার পর, ইরান প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছিল। নাসরাল্লাহর হত্যার পরপরই ইসরায়েল লেবাননে সীমিত আকারে স্থল অভিযান শুরু করে, যার প্রতিক্রিয়ায় ইরান থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের ছবি প্রকাশ করেছে, যেখানে তেল আবিবের আকাশে উজ্জ্বল আলোর দেখা মিলেছে। তবে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো লেবাননের হিজবুল্লাহর নিক্ষিপ্ত রকেট নাকি ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল, তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে অবস্থান করা এক ইউরোপীয় সাংবাদিক জানিয়েছেন, গত এক ঘণ্টায় সেখানে কমলা রঙের উজ্জ্বল ক্ষেপণাস্ত্র আকাশে উড়তে দেখা গেছে, তবে সেগুলো কোথা থেকে ছোড়া হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সূত্র- দ্যা নিউ ইয়র্ক টাইমস।