23.6 C
Los Angeles
Thursday, January 2, 2025

বিশেষ সংবাদ Featured News

৩৮ বছর ধরে বিষাক্ত তেজস্ক্রিয়তার মধ্যে বাস, চেরনোবিলের পথকুকুরেরা এখন ‘সুপারডগ’!

বিজ্ঞানীদের ধারণা, চেরনোবিলের বিষাক্ত পরিবেশে মানিয়ে নিয়েছে...

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ প্রমোদতরি

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ প্রমোদতরি,আধুনিক সময়ের প্রমোদতরিগুলো...

ঝটিকা হামলায় ধ্বংস রুশ ফৌজের তেলের ভান্ডার! এ বার কি ক্রাইমিয়া দখলের যুদ্ধে ইউক্রেন?

আন্তর্জাতিকঝটিকা হামলায় ধ্বংস রুশ ফৌজের তেলের ভান্ডার! এ বার কি ক্রাইমিয়া দখলের যুদ্ধে ইউক্রেন?

ঝটিকা হামলায় ধ্বংস রুশ, রাশিয়া–নিয়ন্ত্রিত ক্রাইমিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি তেলের ভাণ্ডারে হামলা চালাল ইউক্রেনের বাহিনী। ফিওদোশিয়ায় ওই তেলের ভাণ্ডার থেকেই যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ বাহিনীর জন্য জ্বালানি সরবরাহ করা হতো। সোমবারের ওই হামলার পরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি বলেন, ‘‘যুদ্ধ এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।

উক্রেনের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার রাতে সমাজ মাধ্যমে একটি পোস্টে বলা হয়, ক্রাইমিয়ায় ফিওদোশিয়ায় শত্রুপক্ষের জ্বালানি তেলের টার্মিনালে সফলভাবে হামলা চালানো হয়েছে। আকাশপথে হামলায় রুশ বাহিনীর মজুত তেলের বড় অংশই নষ্ট হয়েছে বলে কিভের দাবি।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার রাতে সমাজ মাধ্যমে একটি পোস্টে বলা হয়, ক্রাইমিয়ায় ফিওদোশিয়ায় শত্রুপক্ষের জ্বালানি তেলের টার্মিনালে সফলভাবে হামলা চালানো হয়েছে। আকাশপথে হামলায় রুশ বাহিনীর মজুত তেলের বড় অংশই নষ্ট হয়েছে বলে কিভের দাবি। শীত শুরুর আগে এই ঘটনা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দুশ্চিন্তা বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। প্রসঙ্গত, গত বছর হামলা চালিয়ে ক্রাইমিয়ার সেবাস্তিপোল বন্দরে রুশ বাহিনীর মজুত তেল নষ্ট করেছিল ইউক্রেন বাহিনী।

২০১৪ সালে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে ছোটখাটো সংঘর্ষের পরে দক্ষিণ ইউক্রেনের ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ দখল করেছিল রুশ সেনা। পরে গণভোট করিয়ে ওই অংশকে রুশ ভূখণ্ডের সঙ্গে জুড়ে নিয়েছিল ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার। সামরিক দৃষ্টিতে ক্রাইমিয়ার অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। সেখানকার কৃষ্ণসাগর উপকূলের সেবাস্তিপোল বন্দর শীতের সময়ও সচল থাকে। মূল রুশ ভূকণ্ডের কোনও বন্দরে সে সুবিধা নেই। সমুদ্র ভেসে আসা বরফের চাঁইয়ের কারণে বছরভর সেগুলি সচল রাখা সম্ভব নয়।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সেনা অভিযান শুরুর পরে দক্ষিণ ইউক্রেনের আর এক গুরুত্বপূর্ণ বন্দর খেরসনের দখল নিয়েছিল পুতিন-বাহিনী। কিন্তু গত নভেম্বরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির অনুগত সেনাদের প্রত্যাঘাতে পিছু হটতে হয় তাদের। যদিও ক্রাইমিয়ার মতোই খেরসনকেও গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে জুড়ে নিয়েছিলেন পুতিন। খেরসনের পাশাপাশি বুচা, ইজ়িয়ুম, বোরোডিয়াঙ্কা, চেরনিহিভের মতো শহরও রাশিয়ার হাত থেকে ইতিমধ্যেই ছিনিয়ে নিয়েছে ইউক্রেন। মূল রুশ ভূখণ্ডের ক্রুস্কের বিস্তীর্ণ অংশও তাদের নিয়ন্ত্রণে এ বার কি ক্রাইমিয়ার পালা?
সুত্র: আনন্দবাজার

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles