12.3 C
Los Angeles
Tuesday, December 24, 2024

বিশেষ সংবাদ Featured News

৩৮ বছর ধরে বিষাক্ত তেজস্ক্রিয়তার মধ্যে বাস, চেরনোবিলের পথকুকুরেরা এখন ‘সুপারডগ’!

বিজ্ঞানীদের ধারণা, চেরনোবিলের বিষাক্ত পরিবেশে মানিয়ে নিয়েছে...

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ প্রমোদতরি

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ প্রমোদতরি,আধুনিক সময়ের প্রমোদতরিগুলো...

শীতে কদর বেড়েছে খেজুর রসের

শীতে কদর বেড়েছে, আবহমান বাংলায় শীত মৌসুমে...

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে আসতে পারেন কলকাতার জয়! ভাবনাচিন্তা চলছে হবু প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে

আন্তর্জাতিকডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে আসতে পারেন কলকাতার জয়! ভাবনাচিন্তা চলছে হবু প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে

আমেরিকার নতুন প্রশাসনে কাকে কোন পদে রাখা হবে, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পও নিজের মতো করে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে উঠে আসছে জয় ভট্টাচার্যের নামও।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে, আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্‌থ’ (এনআইএইচ)-এর নতুন অধিকর্তা হতে পারেন জয় ভট্টাচার্য। ছাপ্পান্ন বছর বয়সি স্বাস্থ্যবিদ এবং অর্থনীতিক জয়ের জন্ম কলকাতাতেই। বর্তমানে তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমেরিকার ন্যাশনাল ব্যুরো অফ ইকনমিক রিসার্চের সঙ্গে যুক্ত। রয়েছে এমডি ডিগ্রি। পাশাপাশি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি পিএইচডি করেছেন তিনি।

আগামী ২০ জানুয়ারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন ট্রাম্প। তবে তাঁর প্রশাসনে কে, কোন দায়িত্বে থাকবেন, সেই পরিকল্পনা এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’ জানিয়েছে, এনআইএইচ-এর অধিকর্তা করা হতে পারে জয়কে। গুঞ্জন ছড়িয়েছে আমেরিকার ‘ডিপার্টমেন্ট অফ হেল্‌থ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস’ পরিচালনা করার জন্য আগে রবার্ট এফ কেনেডিকে বেছে নিয়েছেন ট্রাম্প। এই বিভাগের অধীনেই রয়েছে এনআইএইচ। চলতি সপ্তাহে কেনেডির সঙ্গে দেখা করেন জয়। দু’জনের বৈঠকে কী কথা হয়েছে, তা প্রকাশ্যে আসেনি। জয় কিংবা কেনেডির মুখপাত্র কেউই এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’ জানিয়েছে, জয়কে এনআইএইচ অধিকর্তা করার কথা ভাবা হচ্ছে। সূত্রের দাবি, আগামী দিনে এনআইএইচ কোন পথে চলা দরকার, সে বিষয় জয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কেনেডির। জয়ের বক্তব্য মনে ধরেছে তাঁর।

আমেরিকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এনআইএইচ। সে দেশে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে গবেষণার জন্য বিভিন্ন গবেষককে আর্থিক সহায়তা দেয় এই প্রতিষ্ঠান। তা ছাড়া প্রতিষ্ঠান নিজ উদ্যোগেও বিভিন্ন গবেষণামূলক কাজকর্ম করে।

‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, অতীতে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন আমেরিকার সরকারের সমালোচনাও করেছিলেন জয়। ২০২০ সালের অক্টোবরে ‘গ্রেট ব্যারিংটন ডিক্লেয়ারেশন’ নামে একটি খোলা চিঠিতে সহ-লেখক থেকেছেন তিনি। ওই খোলা চিঠিতে করোনা মোকাবিলায় সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করেন তিনি। শুধু তাই নয়, কোথায় খামতি, তা পূরণ করতে কী করণীয়, তা-ও ওই চিঠিতে জানানো হয়। তাঁর মতামতকে সমর্থনও জানায় ট্রাম্পের রিপাবলিকান দল। তবে এনআইএইচ-এর তৎকালীন অধিকর্তা ফ্রান্সিস এস কলিনস্‌ সেই প্রস্তাব মানতে চাননি।

এ বার ট্রাম্প ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এনআইএইচ-এর অধিকর্তা পদে জয়কে বসানোর ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। যদিও কোনও পক্ষই এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও সিদ্ধান্তও এখনও নেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত কাকে কোন পদের জন্য বেছে নেওয়া হবে তা ঘোষণা করবেন ট্রাম্পই।

সুত্র: আনন্দবাজার

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles