পার্বত্য অঞ্চলের সমস্যা, নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, পাহাড়ে শান্তি বজায় রাখতে এবং পাহাড়িদের দুঃখ-বেদনা বুঝতে হবে, যাতে কেউ ইন্ধন জোগাতে না পারে। তিনি উল্লেখ করেন, “পাহাড় শান্ত না থাকলে কেউই শান্তিতে থাকতে পারবে না।”
আজ রোববার বরিশাল মেরিন একাডেমি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। পরিদর্শনের সময় তিনি একাডেমির শিক্ষার্থীদের প্যারেড প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন এবং পরে বৃক্ষরোপণ করেন।
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “পার্বত্য অঞ্চলে যা ঘটছে, সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছেন। এটি আমাদের উপলব্ধি করতে হবে এবং স্থানীয় প্রশাসনকে গুরুত্ব দিতে হবে। সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। পাহাড়ে বাঙালি বাদে ১৩ থেকে ১৪টি কমিউনিটি রয়েছে, এবং তাঁদের মধ্যে সৌহার্দ্য বজায় রাখা জরুরি। অপাহাড়ি সম্প্রদায়ের সদস্যদের পাহাড়িদের দুঃখ ও বেদনা বুঝতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি যে দুটি মন্ত্রণালয়ে আছি, সেখানে করাপশন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত ১৫ বছরে সরকার সিস্টেমকে করাপ্ট করে ফেলেছে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় প্রায় শেষ হয়ে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি সেগুলো পুনরুদ্ধার করতে, তবে এটি দুই বা তিন বছরে সম্ভব নয়।”
নৌপরিবহন উপদেষ্টা জানান, “নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে কিছু প্রকল্প রয়েছে, যা অনেকেই জানেন না। এগুলো দেশবাসীর সহযোগিতা ছাড়া সফল করা সম্ভব নয়। চুরি বন্ধ করতে হবে। এখন এক হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটছে, এবং কিছু লোকের ৩৬০টি বাড়ির খবর পাওয়া যাচ্ছে। দেশকে এই করাপশন থেকে মুক্ত করতে হবে, যা আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ।”
মেরিন একাডেমি পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, “দেশের মেরিন একাডেমিগুলোর আধুনিকায়ন এবং এখান থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক নৌ সেক্টরে যুক্ত করার জন্য সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে।”
এ সময় বরিশাল সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লা, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।