চীনের চ্যাং’ই-৬ মিশনের অংশ হিসেবে পাকিস্তান ‘ঐতিহাসিক’ চন্দ্রাভিযান শুরু করতে যাচ্ছে। শুক্রবার (৩ মে) চ্যাং’ই-৬ উৎক্ষেপণ করা হবে বলে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস অব পাকিস্তান (এপিপি) জানিয়েছে।
চীনের সাংহাই বিশ্ববিদ্যালয় ও পাকিস্তানের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা সুপারকোর সহযোগিতায় ইনস্টিটিউট অব স্পেস টেকনোলজি আইসিইউবিই-কিউ ডিজাইন ও উন্নয়ন করেছে।
এপিপি জানিয়েছে, আইসিইউবিই-কিউ অরবিটার দুটি অপটিক্যাল ক্যামেরা বহন করে যা চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি তুলবে। সফল যোগ্যতা অর্জন ও পরীক্ষা শেষে, আইসিইউবিই-কিউ এখন চ্যাং’ই-৬ মিশনের অংশ হিসেবে যুক্ত হয়েছে।
চীন চাঁদের দূরবর্তী অঞ্চল থেকে নমুনা সংগ্রহের প্রথম প্রচেষ্টা শুরু করতে যাচ্ছে। চ্যাং’ই-৬ মিশন চীনের মহাকাশ প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, কারণ এটি চাঁদের এমন একটি অঞ্চল থেকে মাটি ও পাথরের নমুনা সংগ্রহ করবে যা স্থায়ীভাবে পৃথিবীর দৃষ্টির বাইরে রয়েছে।
ইনস্টিটিউট অব স্পেস টেকনোলজির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, চীনের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা এশিয়া প্যাসিফিক স্পেস কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সদস্য দেশগুলোকে তাদের মিশনে চাঁদে শিক্ষার্থীদের তৈরি পেলোড পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে।
মহাকাশযানটি দক্ষিণাঞ্চলীয় হাইনান প্রদেশের লঞ্চ প্যাডে অবস্থান করছে এবং উৎক্ষেপণের জন্য চূড়ান্ত মহড়া সম্পন্ন করেছে। মহাকাশযানটি এখান থেকেই যাত্রা শুরু করবে।
পৃথিবীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের অভাব থাকায়, চ্যাং’ই-৬ মিশন তার ৫৩ দিনের অভিযানের সময় চাঁদের কক্ষপথে সম্প্রতি মোতায়েন করা একটি রিলে উপগ্রহের ওপর নির্ভর করবে।