19 C
Los Angeles
Saturday, October 12, 2024

বিশেষ সংবাদ Featured News

চাগোস দ্বীপপুঞ্জ মরিশাসের কাছে ফিরিয়ে দিচ্ছে যুক্তরাজ্য

চাগোস দ্বীপপুঞ্জ মরিশাসের,ভারত মহাসাগরে অবস্থিত সামরিক কৌশলগত...

ক্লাস করেনি বলে মেয়ের কক্ষকে জেলখানা বানালেন বাবা!

ক্লাস করেনি বলে মেয়ের কক্ষকে, একদিন অংক...

শরতের কাশফুলের সৌন্দর্যে ভরপুর পদ্মার তীর: রাজশাহীতে ভ্রমণকারীদের ভিড়

শরতের কাশফুলের সৌন্দর্যে,পদ্মা নদীর পাড়ে কাশফুলের সাদা...

মডেল মসজিদ নিয়ে বিতর্ক: নামাজে অনুপস্থিত মুসল্লিরা

Uncategorizedমডেল মসজিদ নিয়ে বিতর্ক: নামাজে অনুপস্থিত মুসল্লিরা

বগুড়ার সারিয়াকান্দি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র জোরপূর্বক ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মসজিদের নামে জমির দলিল না হওয়ায় এখনও এটি ওয়াকফ করা হয়নি। মসজিদটি জনবহুল এলাকায় না হওয়ায় মুসল্লিদের অংশগ্রহণ কম, এবং সেখানে নামাজ পড়তে লোকজন আসছেন না। এছাড়া, মসজিদের দেয়ালে ফাটলসহ নিম্নমানের নির্মাণকাজের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব সমস্যার সমাধানে স্থানীয় মুসল্লিরা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, সারিয়াকান্দি উপজেলা সদরে ১.৮১ একর জমিতে মডেল মসজিদটি নির্মিত হয়েছে। তবে যে জমিতে মসজিদটি গড়ে উঠেছে, সেটি পীরপাল দেওয়ানের নামে সিএস রেকর্ডভুক্ত জমি। জমিটি পীরপাল দেওয়ানের কোনো বংশধর না থাকলেও আব্বাদ আলী ফকির এবং বামতুল্লাহ ফকির নামে দুই দখলদার পরিবারের কাছে ভাগ হয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে এই জমিতে ওরসের আয়োজন করা হতো, যার মাজার এখনও মসজিদের সামনে রয়েছে। পরে এলাকাবাসীর অনুরোধে এখানে ঈদের নামাজ আদায়ের প্রথা চালু হয়, যা ঈদগাহ মাঠ কমিটির দখলে চলে যায়।

২০১৮ সালে বগুড়া-১ আসনের সাবেক এমপি মরহুম আব্দুল মান্নানের উদ্যোগে মসজিদটির নির্মাণ শুরু হয়। তবে জমির স্বত্ব দাবি করে সোলায়মান আলী নামের একজন ব্যক্তি ২০২১ সালে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, জমির স্বত্ব নিয়ে দুটি মামলায় ডিক্রি পাওয়ার পরও জোরপূর্বক মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে মসজিদটির কোনো দলিল প্রস্তুত হয়নি এবং এটি এখনও ওয়াকফ করা হয়নি।

মসজিদের অবস্থান জনবহুল এলাকা থেকে দূরে হওয়ায় মুসল্লিদের উপস্থিতি কম। পূর্বে সেখানে মোহাম্মাদি জামাত পরিচালিত হলেও নতুন মডেল মসজিদে হানাফি জামাত শুরু হওয়ায় স্থানীয় মুসল্লিরা মসজিদটিতে নামাজ পড়তে আগ্রহী নন এবং পাশেই নতুন মসজিদ নির্মাণ করেছেন।

এছাড়া মসজিদের নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি অনুযায়ী, মসজিদের সাউন্ড সিস্টেম, সিসিটিভি ক্যামেরা, জেনারেটর, ফ্যানসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়েছে। ছাদ থেকে বৃষ্টির পানি মসজিদের দ্বিতীয় তলায় প্রবেশ করে, এবং বৈদ্যুতিক সংযোগসহ অন্যান্য সমস্যাও বিদ্যমান। দেয়ালের প্লাস্টার খসে পড়ছে ও ফাটল ধরেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নান্টু মিয়া বলেন, মসজিদটি ওয়াকফ করা হয়নি এবং সেখানে মোহাম্মাদি জামাত না থাকায় তারা সেখানে নামাজ পড়েন না। জমির মালিক দাবিদার আবুল কাসেম জানান, আদালতের ডিক্রি পাওয়ার পরও তাদের জমিতে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌহিদুর রহমান জানান, মসজিদের নিম্নমানের কাজের বিষয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমাধান করা হবে।

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles