সিদ্ধিরগঞ্জে শেখ হাসিনা,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত রফিকুল ইসলাম (২৪) এর মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ ১০৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আরও ১০০ থেকে ১২০ জন অজ্ঞাতনামা আসামিকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মোল্লার আদালতে রফিকুলের মা সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন। আদালতের নির্দেশে আজ বুধবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা-পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করে। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে হতাহতের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় ২৩টি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৮টি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অন্য উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়া, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য দিদার হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র তোফাজ্জল হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মতিউর রহমান, ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম প্রমুখ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২১ জুলাই সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের এবং শামীম ওসমানের নির্দেশে আসামিরা রফিকুল ইসলামকে পাঁচটি গুলি করেন। আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে প্রো–অ্যাকটিভ হাসপাতালে এবং পরে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল মামুন জানান, আদালতের নির্দেশে হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে।