বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “স্বৈরাচারকে বিদায় করেছি, কিন্তু আমাদের অল্প লক্ষ্য পূরণ হয়েছে; সামনে আরও অনেক পথ বাকি।” তিনি বলেন, যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, তাহলে মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে পারব। দেশের রাজনৈতিক মুক্তির পাশাপাশি জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির পথও খুঁজে বের করতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, “জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিতে পারলে আমরা সবদিক থেকেই মুক্তি পেতে সফল হবো।”
শনিবার সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বেলকুচি, চৌহালী ও এনায়েতপুর থানা বিএনপি আয়োজিত শহীদদের স্মরণ সভায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, “কিছুদিন আগে মানুষের কথা বলার অধিকার ছিল না, কিন্তু আজ তা অর্জিত হয়েছে। তবে, আমরা আংশিক সফল হয়েছি; ভোটের অধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা জাতির কাছে ৩১ দফা উপস্থাপন করেছি, যেখানে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে অনেক কিছু অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। দেশের উন্নয়নের জন্য শুধুমাত্র সংস্কারই যথেষ্ট নয়, দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে হবে।”
তারেক রহমান দৃঢ়ভাবে বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র গণআন্দোলনে শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ভোটের অধিকার এবং মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
স্মরণ সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সভায় বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন রোমানা মাহমুদ, সাইদুর রহমান বাচ্চু, ডা. এমএ মুহিত, নুরুল ইসলাম গোলাম প্রমুখ।