16.4 C
Los Angeles
Wednesday, December 18, 2024

বিশেষ সংবাদ Featured News

৩৮ বছর ধরে বিষাক্ত তেজস্ক্রিয়তার মধ্যে বাস, চেরনোবিলের পথকুকুরেরা এখন ‘সুপারডগ’!

বিজ্ঞানীদের ধারণা, চেরনোবিলের বিষাক্ত পরিবেশে মানিয়ে নিয়েছে...

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ প্রমোদতরি

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ প্রমোদতরি,আধুনিক সময়ের প্রমোদতরিগুলো...

শীতে কদর বেড়েছে খেজুর রসের

শীতে কদর বেড়েছে, আবহমান বাংলায় শীত মৌসুমে...

আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী: বেক্সিমকো গ্রুপের দায়ের পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকা

জাতীয়আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী: বেক্সিমকো গ্রুপের দায়ের পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকা

আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী, দেশের ১৬টি ব্যাংক ও সাতটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বেক্সিমকো গ্রুপের ৭৮টি প্রতিষ্ঠানের দায়ের পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকা। এ হিসাব চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের।

এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে রুলের শুনানিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী আজ রোববার আদালতে এ তথ্য তুলে ধরেন। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি নিয়ে আগামী ২২ জানুয়ারি শুনানির জন্য পরবর্তী দিন রেখেছেন।

আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুনীরুজ্জামান। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও আইনজীবী আনিসুল হাসান শুনানিতে ছিলেন। রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন।

আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য তুলে ধরেছেন জানিয়ে আইনজীবী মুনীরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৬টি ব্যাংক ও সাতটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বেক্সিমকো গ্রুপের ৭৮টি প্রতিষ্ঠানের দায়ের পরিমাণ ৫০ হাজার ৯৮ দশমিক ৩ কোটি টাকা। এসব প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকৃত ঋণ হচ্ছে ৩১ হাজার ৭৫ দশমিক ৬৭ কোটি টাকা। জনতা, আইএফআইসি, সোনালী, রূপালীসহ অন্যান্য ব্যাংক আইন ও প্রচলিত ব্যাংকিং রীতিনীতি ভঙ্গ করে বেক্সিমকো গ্রুপের ৭৮টি প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সুবিধা দিয়েছে। এর মধ্যে ঋণ, পুনঃ তফসিলিকরণ, ঋণের মেয়াদ বাড়ানো, অতিরিক্ত ঋণদান, এলসি–সুবিধাসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা রয়েছে। জনতা ব্যাংক একক ঋণ গ্রাহক হিসেবে বেক্সিমকো গ্রুপকে তার প্রাপ্যের চেয়ে প্রায় ২০ গুণ বেশি আর্থিক সুবিধা দিয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুলোকে দেওয়া ঋণের প্রায় ৫০ শতাংশ জনতা ব্যাংক একাই দিয়েছে।’

এর আগে গত ২৫ বছরে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডসহ সংশ্লিষ্ট কোম্পানির অন্য সব ব্যবসার ক্ষেত্রে পরিশোধের পর ঋণ মওকুফ বিষয়ে তথ্যাদি সরবরাহ করাসহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান আবেদনকারী হয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। ৫ সেপ্টেম্বর এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। এতে বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি সংযুক্ত (অ্যাটাচ) করতে ও গ্রুপটির কোম্পানিগুলো ব্যবস্থাপনায় ছয় মাসের জন্য ‘রিসিভার’ নিয়োগ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেওয়া হয়। অপর নির্দেশনায় বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা সালমান এফ রহমানের নেওয়া অর্থ আদায় করতে ও বিদেশে পাঠানো অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেওয়া হয়।

ওই আদেশের পর বেক্সিমকো গ্রুপে ‘রিসিভার’ নিয়োগ দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ স্থগিত চেয়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পক্ষে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করা হয়। এর শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ গত ১২ নভেম্বর শুধু বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ক্ষেত্রে ‘রিসিভার’ নিয়োগের আদেশ স্থগিত করেন। পাশাপাশি বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ-সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় রুলের ওপর হাইকোর্টে ২৭ নভেম্বর শুনানি শুরু হয়।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, শুনানি নিয়ে আদালত ২২ জানুয়ারি শুনানির পরবর্তী দিন রেখেছেন।

হাইকোর্টের আদেশ থেকে জানা যায়, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও সালমান এফ রহমানের বেক্সিমকো গ্রুপ অব কোম্পানিজের অন্য সব ব্যবসা-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কী পরিমাণ ঋণ অপরিশোধিত আছে, ঋণের বর্তমান অবস্থা ও রিপেমেন্টের (পরিশোধ) তথ্য দিতে এবং বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি সংযুক্ত (অ্যাটাচ) করে সেসব ব্যবস্থাপনায় রিসিভার নিয়োগ বিষয়ে রুল দেওয়া হয়।

শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বেক্সিমকো গ্রুপে ইতিমধ্যে ‘রিসিভার’ নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. রুহুল আমিনকে রিসিভার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles