21.4 C
Los Angeles
Wednesday, November 20, 2024

বিশেষ সংবাদ Featured News

স্বচালিত ট্রাক্টর চাষাবাদে বিপ্লব ঘটাবে

স্বচালিত ট্রাক্টর, কানাডায় খামারিদের চাষাবাদে বিপ্লব ঘটাতে...

‘আলো আসবেই’ গ্রুপকে কেন ছাত্রদের বিপক্ষে দাঁড় করানো হচ্ছে: জ্যোতি

Uncategorized‘আলো আসবেই’ গ্রুপকে কেন ছাত্রদের বিপক্ষে দাঁড় করানো হচ্ছে: জ্যোতি

আলো আসবেই,জুলাই বিপ্লবকে কেন্দ্র করে শোবিজে ঘটে যাওয়া আলোচিত ঘটনার মধ্যে অন্যতম হলো ‘আলো আসবেই’ নামের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের চ্যাট ফাঁস। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের ফলে বর্তমানে ওই গ্রুপে থাকা শিল্পীরা সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য হয়ে পড়ছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম মেধাবী অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি।

এতদিন ধরে গ্রুপের সব শিল্পীই নীরব ছিলেন, কিন্তু সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এসে জ্যোতিকা জ্যোতি পুরো বিষয়টি নিয়ে নিজের মতামত তুলে ধরেছেন।

তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কেন এই গ্রুপের সদস্যদের সাধারণ ছাত্রজনতার বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হলো? জ্যোতিকা অভিনেত্রীর পক্ষ থেকে এর জন্য যুক্তি তুলে ধরেছেন, যা বর্তমানে শোবিজে আলোচনা সৃষ্টি করেছে।

জ্যোতিকা জ্যোতি

জ্যোতি বলেন, “এতদিন আমি নীরব ছিলাম, কিন্তু আর চুপ থাকতে পারলাম না। কারণ, আমাকেসহ ওই গ্রুপের সবাইকে সামাজিক কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। এতে আমি স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতে পারছি না এবং বলতে পারেন, আমি সামাজিক হেনস্তার শিকার হচ্ছি। তাই একজন সংবেদনশীল মানুষ হিসেবে আমি আমার অবস্থান পরিষ্কার করতে ফেসবুক লাইভে এসেছি।”

জ্যোতি প্রথমেই বলেন, “যারা ‘আলো আসবেই’ গ্রুপে ছিলেন, তাদেরকে আপনি সম্প্রতি দুটি তকমা দিয়েছেন—একটি হলো স্বৈরাচারের দোসর এবং অপরটি হলো গণহত্যার ইন্ধনদাতা! এই দুটি কথার মানে কি আপনারা জানেন? আমরা কি করেছি যে এ ধরনের অপবাদ শুনতে হচ্ছে? আমি আজ থেকে আর একবারও এই অপবাদ নিজের কাঁধে নিতে চাই না বলেই কথাগুলো বলছি। আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার কোনো প্রমাণ আপনার কাছে আছে? যদি না থাকে, তাহলে কেন এসব কথা বলছেন? আপনারা কি জানেন, এই ধরনের অপবাদ মানুষের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে? আমি আর তা সহ্য করতে পারছি না, তাই আজ আমি এসব কথা বলছি।”

জ্যোতিকা জ্যোতি

জ্যোতি আরও বলেন, ‘একে তো আমি নারী, আজকাল দেশে নারীদের কোন সম্মান নেই। তারওপর আমি অভিনেত্রী, তাতে তো আমাকে নিয়ে বাজে কথা বলা আরও সহজ! সেই সাথে আমি হিন্দু, আমি অন্যায় দেখলে মুখ বন্ধ রাখি না- এই সবকিছুতেই তো আপনাদের সমস্যা। এজন্য এমনিতেই আমি নানা ধরনের চাপের মধ্যে আছি। কিন্তু যে কাজের সঙ্গে আমার কোন সম্পৃক্ততাই নেই তার জন্য দয়া করে আমাকে অপবাদ দিয়ে মানসিক চাপ সৃষ্টি করবেন না। এটুকু অনুরোধ থাকলো সবার প্রতি।


তিনি কেন ওই গ্রুপে ছিলেন সে বিষয়ে বলেন, ‘আওয়ামীলীগকে সমর্থন করেন যেসব শিল্পী, তারাই ওখানে ছিলেন। এটা আমি ইনিয়ে বিনিয়ে বলব না যে, আমাকে কেন অ্যাড করেছে, কে অ্যাড করেছে জানি না। আমি জেনেশুনেই ছিলাম গ্রুপটিতে। কারণ আমি জানতাম, ওই গ্রুপের এমন কোন উদ্দেশ্য নেই যা আমাদের দেশের বা দেশের মানুষের জন্য ক্ষতিকর। হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ এখন খুব স্বাভাবিক বিষয়। যে কোন ছোট ছোট বিষয়ে আমরা গ্রুপ খুলি। এটাও তেমন একটা গ্রুপ। এখানে আমি সব সময় ঢাকার কোথায় কি অবস্থা সে সব আপডেট দিতাম। কারণ আমাদের তো পরিস্থিতি বুঝে ঘরের বাইরে বেরোতে হতো। দু একজনের দু একটা কথা হয়ত আপনারা ক্ষতিকর মনে করছেন। কিন্তু সেই কথাগুলো কোন পরিস্থিতিতে বলা হয়েছে সেটা আপনারা জানেন না। কোনো শিল্পী কখনোই মানুষ হত্যার সমর্থন করতে পারে না, এটা আপনারা ভুলে গেছেন।

জ্যোতি আরও বলেন, “আমি ওই সময় মাত্র দুটি প্রোগ্রামে গিয়েছিলাম। একটি বিটিভিতে হামলার প্রতিবাদ করতে এবং অন্যটি আন্দোলনে আহত ছাত্রদের হাসপাতালে দেখতে। কিন্তু আপনারা ছাত্রদের দেখতে যাওয়ার বিষয়টি সামনে আনেননি, বরং বিটিভির বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। আমরা সেখানে গিয়েছিলাম সব ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে কথা বলতে, যা দোষের কিছু নয়। আমরা সবসময় বলেছি, এই ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ ছাত্ররা করতে পারে না। কিছু সুবিধাবাদী ছাত্রের মধ্যে ঢুকে গিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করেছে। তাহলে কেন আপনারা আলো আসবেই গ্রুপের শিল্পীদের ছাত্রদের বিরুদ্ধে দাঁড় করাচ্ছেন? অহেতুক আপনারা এই গ্রুপটিকে নানা রঙচঙে মাখিয়ে শিল্পীদের ক্ষতির মুখে ফেলেছেন।”

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles