এএফসি অনূর্ধ্ব–১৭ বাছাইপর্ব, এশিয়ান কাপের চূড়ান্তপর্বে খেলার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে নিজেদের শেষ গ্রুপ ম্যাচে জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবার সুযোগ ছিল না বাংলাদেশের।
নমপেনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের শুরুটাও দুর্দান্ত করেছিল সাইফুল বারীর দল। প্রথমার্ধে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলের হারই সঙ্গী হয়েছে দলের। তাতে বাছাইপর্ব থেকেই বিদায়ঘণ্টা বেজেছে বাংলাদেশের কিশোরদের।
গ্রুপ ‘বি’তে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কম্বোডিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরে বাছাইপর্ব শুরু করা বাংলাদেশ পরের দুটি ম্যাচে ফিলিপাইন ও ম্যাকাওয়ের বিপক্ষে জিতেছে। ফিলিপাইনকে ১-০ গোলে হারানোর পর ম্যাকাওকে উড়িয়ে দিয়েছিল ৭-০ গোলে।
আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ছিল জয়েই চোখ। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে মিঠু চৌধুরীর গোলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার পর ২৯ মিনিটে আফগানিস্তান সমতা ফেরায়। দূরপাল্লার শটে করা ইয়াসির শাফির গোলটি ছিল দুর্দান্ত।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সালের কর্নার থেকে বাংলাদেশকে ২-১ গোলে এগিয়ে নেয় মোর্শেদ আলী। ফয়সালের কর্নার শফিক রহমানের পা ঘুরে বক্সের মধ্যে মোর্শেদের পায়ে এলে সে আর ভুল করেনি। ম্যাচের বিরতিতে বাংলাদেশ যায় ২-১ গোলে এগিয়ে থেকেই।
দ্বিতীয়ার্ধে আফগানিস্তান অপেক্ষাকৃত প্রাধান্য বিস্তার করে খেলেছে। বাংলাদেশও খুব খারাপ খেলেনি। ৬৪ মিনিটে আফগানিস্তান ২-২ সমতা ফেরায়। এই গোলের জন্য বাংলাদেশের রক্ষণের দায় আছে। বাঁ প্রান্ত দিয়ে নাওয়াদ মাহবুবি দারুণভাবে বল নিয়ে ঢুকে যে কাট ব্যাকটি করে সেটি প্রথমে ফিরিয়েছিল বাংলাদেশের গোলকিপার আলিফ হোসেন। ফিরতি বলে বাংলাদেশের তিন ডিফেন্ডারের মাঝখানে দিয়ে জালে পাঠায় বদলি নামা মোহাম্মদ মিলাদ নূরি।
এর আগে ৫৫ মিনিটে কর্নার থেকে মোহাম্মদ মানিকের হেড আফগান গোলকিপার আবদুল রহিম রাসূলি কোনোমতে ফিরিয়ে নিশ্চিত গোল থেকে বঞ্চিত করে বাংলাদেশকে। ৭০ মিনিটে আফগানিস্তানের আরেক বদলি আরাশ আহমাদি দলকে ৩-২ গোলে এগিয়ে নেয়।
শেষ দিকে বেশ কিছু আক্রমণে উঠেও কাঙ্ক্ষিত গোলটি পায়নি বাংলাদেশ। ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতার পাশাপাশি ছিল মধ্যমাঠের খেলোয়াড়দের সৃজনশীলতার অভাব। মৌলিক কিছু ভুলও এ ম্যাচে হারের বড় কারণ।
সুত্র: প্রথম আলো