ওবামার বাড়িতে প্রেমিকাকে, আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বাড়িতে প্রেমিকাকে নিয়ে এসে সঙ্গম করেছিলেন আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মী। সেই অপরাধে চাকরিও হারাতে হয় তাঁকে। সম্প্রতি এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে এল।
০১/১৪
ঘটনাটি ২০২২ সালের। সমুদ্রসৈকতের ধারে ওবামার হাওয়াইয়ের বাড়িতে এই কীর্তি করতে গিয়েই নাকি ধরা পড়েছিলেন গোয়েন্দা সংস্থার ওই কর্মী।
০২/১৪
আমেরিকার ওই প্রাক্তন এজেন্টের তৎকালীন প্রেমিকাই সম্প্রতি বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছেন। তাঁর নাম কোরিয়া ডোয়ানিয়েন।
০৩/১৪
কোরিয়া তাঁর ‘আন্ডারকভার হার্টব্রেক: আ মেমোয়ার অফ ট্রাস্ট অ্যান্ড ট্রমা’ বইয়ে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক তথা ওই বহিষ্কৃত এজেন্টকে ‘ডেল’ নামে সম্বোধন করেছেন।
০৪/১৪
সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোরিয়া এবং ডেলের আলাপ ম্যাসাচুসেটসের এক আঙুরের ক্ষেতে । সেখান থেকেই বন্ধুত্ব গড়িয়ে প্রেম।
০৫/১৪
কোরিয়া জানিয়েছেন যে, আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ওবামাকে রক্ষা করার দায়িত্ব ছিল ডেলের উপর। ২০২২ সালে ডেল তাঁকে বারাক এবং মিশেল ওবামার হাওয়াইয়ের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান।
প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বাড়িতে যেতে হবে শুনে ঘাবড়েই গিয়েছিলেন কোরিয়া। তবে ডেল নাকি তাঁকে আশ্বাস দেন যে, বিষয়টি কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পাবে না। আর গন্ডগোল কিছু হলে তবেই সমস্যায় পড়তে হবে, না হলে কিছু হবে না।
২৮ অক্টোবর প্রকাশিত বইয়ে কোরিয়া দাবি করেছেন, আমেরিকার প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি মিশেলের স্নানঘরে তাঁর সঙ্গে সঙ্গম করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ডেল।
আমেরিকার সিক্রেট সার্ভিসের মুখ্য যোগাযোগ আধিকারিক অ্যান্টনি গুগলিয়েলমি এবিসি নিউজকে জানিয়েছেন, সত্যিই এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছিল ২০২২ সালে। ওই এজেন্টকে চাকরি থেকে বরখাস্তও করা হয়েছিল।
০৯/১৪
অ্যান্টনির কথায়, ‘‘২০২২ সালের ৬ নভেম্বর ওবামার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক এজেন্ট এমন এক জনকে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন, যাঁর সেখানে প্রবেশের অনুমতি ছিল না।’’
বিষয়টি জানার পরেই ওই এজেন্টকে ডেকে পাঠানো হয়। অবিলম্বে নিলম্বিত করা হয় তাঁকে। সম্পূর্ণ তদন্তের পর একেবারে বরখাস্ত করা হয়।
প্রায় চার ঘণ্টা ধরে ডেকে এজেন্টের তৎকালীন প্রেমিকাকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। কোরিয়ার লেখা বই অনুযায়ী, তিনিই সেই প্রেমিকা।
অ্যান্টনির দাবি, যখন গোয়েন্দা সংস্থার প্রাক্তন ওই এজেন্ট তাঁর প্রেমিকাকে নিয়ে ওবামাদের ঘরে এসেছিলেন, তখন কোনও নিরাপত্তারক্ষী সেখানে ছিলেন না।
এজেন্টের কীর্তি গোয়েন্দা সংস্থার নীতি এবং বিশ্বাসকে গুরুতর ভাবে লঙ্ঘন করেছিল বলেও অ্যান্টনি জানিয়েছেন।
অন্য দিকে কোরিয়া জানিয়েছেন, এত কিছুর পরেও তাঁর মন ভাঙে, যখন তিনি জানতে পারেন যে ডেল আগে থেকেই বিবাহিত এবং তাঁকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই ঘটনা নিয়েই বই লিখেছেন কোরিয়া।
সুত্র: আনন্দবাজার, সব ছবি: সংগৃহীত।