কফিনের মুখ নেই, প্রত্নতাত্ত্বিক জগতে নতুন বিস্ময় সৃষ্টি করেছে একটি কফিন, যার মুখ বন্ধ ছিল এবং এর ভেতরে পাওয়া যায় একটি বিশেষ ধরনের মমি। এই কফিনটি আবিষ্কার হয় মিশরে এবং এর গঠন থেকে প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করেছিলেন, এটি প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার সমাধি সংস্কৃতির একটি অজানা অধ্যায়কে প্রকাশ করতে পারে।
মমিটির দেহাবশেষ এতটাই অক্ষত ছিল যে গবেষকদের মতে, তা প্রায় ২,১০০ বছর আগের হলেও মৃত্যুর সময়কার অনেক বৈশিষ্ট্য আজও স্পষ্ট। চামড়া ছিল আর্দ্র ও স্থিতিস্থাপক, এমনকি চোখের পাপড়ি ও নাকের লোমও সজীব মনে হচ্ছিল। ময়নাতদন্তে শরীরের শিরায় জমাট বাঁধা রক্তের চিহ্নও পাওয়া গেছে। মৃত্যুর কারণ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে হৃদরোগ
তবে এই কফিনের বিশেষত্ব ছিল এর মুখহীন গঠন। প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, এটি একটি আচারগত নকশা, যা মৃত ব্যক্তির সামাজিক মর্যাদা বা ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কিত। বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন, এর মাধ্যমে মিশরের আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের কোনো বিশেষ বার্তা সংরক্ষণ করা হয়েছে।
এই আবিষ্কার প্রত্নতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক গবেষণায় নতুন দিক উন্মোচন করেছে এবং এটি আমাদের প্রাচীন সভ্যতার জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি আরও প্রসারিত করবে।
পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ:
প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার প্রতিটি আবিষ্কারই নতুন তথ্য এনে দেয়। যদি এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে চান, প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার রিপোর্টগুলো পর্যবেক্ষণ করুন, যা ভবিষ্যতে আমাদের অজানা রহস্যের সমাধান করতে সাহায্য করবে।
সুত্র: Banglasahitya.net, Roar Media Archive।