চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা, বাংলাদেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবি ক্রমশ জোরালো হয়ে উঠছে, বিশেষত বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ পরিষদের পক্ষ থেকে। সংগঠনটি এই বয়সসীমা বাড়ানোর জন্য সরকারকে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করার আহ্বান জানিয়েছে। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে যদি দাবিটি মানা না হয়, তবে জেলা পর্যায় থেকে ঢাকা পর্যন্ত লংমার্চের আয়োজন করা হবে।
এই আন্দোলনের পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে, দীর্ঘ সেশনজট এবং অন্যান্য সামাজিক বাধা, যা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন শেষ করে চাকরির বাজারে প্রবেশের সময়কে সীমিত করে দেয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা প্রায় ২৬-২৭ বছর বয়সে অনার্স শেষ করে, ফলে ৩০ বছর বয়সসীমায় চাকরিতে আবেদন করা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। অনেকেই চাকরির জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার পর্যাপ্ত সময় পান না। শিক্ষার্থীরা বিশেষভাবে উল্লেখ করছেন, আন্তর্জাতিক মান অনুসারে এই বয়সসীমা বাড়ানো দরকার যাতে মেধাবীরা কর্মসংস্থানে প্রবেশের সুযোগ পান।
বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ পরিষদ প্রধান সুরাইয়া ইয়াসমিন উল্লেখ করেন, নারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন সামাজিক কারণে বয়সসীমা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সেশনজট, বিয়ে, সংসার, ও সন্তান পালন—এসব কারণে অনেক মেধাবী নারী চাকরির বয়সসীমা পার করে ফেলেন। এ পরিস্থিতিতে সরকার যদি প্রজ্ঞাপন না দেয়, তবে ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সদস্যরা দেশজুড়ে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর আগে সরকারের কাছে বেশ কয়েকবার দাবি জানানো হলেও তাদের কথা এখনো কার্যকর হয়নি।
এই প্রসঙ্গে বলা যায়, এই দাবিটি দীর্ঘমেয়াদে মেধা সংরক্ষণ এবং শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সরকার এই দাবিটি বিবেচনা করছে কিনা, তা জানতে আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে সবাই তাকিয়ে আছে।
সুত্র:THE DAILY CAMPUS DAILY MANOBKANTHA