নির্মাতা গুরুপ্রসাদের মৃতদেহ, পরিচালক গুরুপ্রসাদের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার কন্নড়ে পরিচালকের বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহ পেয়েছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন এই চিত্রপরিচালক।
আট মাস ধরে বেঙ্গালুরুর মদনায়কনহল্লীর এক আবাসনের বাসিন্দা ছিলেন গুরুপ্রসাদ। তাঁর বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানান। গতকাল পুলিশ এসে গুরুপ্রসাদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছিল। গুরুপ্রসাদ তাঁর ফ্ল্যাটের ঘরের এক ফ্যানে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। জানা গেছে, ৫২ বছর বয়সী এই চিত্রপরিচালক আর্থিক অনটনের মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলেন।
এই মামলার তদন্তকারী এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘চিত্রনির্মাতা গুরুপ্রসাদ কোনো বিষয় নিয়ে বা নিজের ছবির কারণে উদ্বিগ্ন ছিলেন। আমরা জানতে পেরেছি যে উনি আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত ছিলেন। পাঁচ-ছয় দিন আগে প্রতিবেশীরা ওনাকে ওনার ফ্ল্যাটে প্রবেশ করতে দেখেছিলেন। তার পর থেকে ওনাকে আর বাইরে বের হতে দেখা যায়নি। মনে হচ্ছে পাঁচ-ছয় দিন আগেই উনি ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই মামলার আমরা তদন্ত করছি। গুরুপ্রসাদের পচাগলা দেহ আমরা ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পেয়েছি। ওনার ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। আর তাই ওনার প্রতিবেশীরা পুলিশকে এ ব্যাপারে জানিয়েছেন। গুরুপ্রসাদের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।’
পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে যে গুরুপ্রসাদের সাম্প্রতিক ছবি ‘রংগনায়কা’ চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছিল। তাঁর আত্মহত্যার পেছনে এটা আর একটা কারণ বলে মনে করছে পুলিশ। বক্স অফিসে ছবিটি না চলায় এই চিত্রপরিচালক যে আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে পড়েছিলেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। গুরুপ্রসাদের আত্মহত্যার খবরে কন্নড় চলচ্চিত্র–দুনিয়া রীতিমতো হতবাক। সমগ্র ইন্ডাস্ট্রি শোকে ডুবে আছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একদমই সক্রিয় ছিলেন না গুরুপ্রসাদ। ২০২১ সালে তিনি শেষ পোস্ট করেছিলেন। গত তিন বছরে একটিও পোস্ট করেননি এই চিত্রনির্মাতা।