২০১৯ সালে তিনি এমবিবিএস পাশ করেন পৌলমী বিজয়পুরী। পরে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ হিসাবে হাউস স্টাফশিপ এবং ইন্টার্নশিপ সম্পূর্ণ করে সরকারি চিকিৎসক হিসাবে যোগ দেন একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
পছন্দের পুরুষকে বিয়ে করতে বাধা, পৌলমীর বাবা প্রশান্ত বিজয়পুরীও পেশায় চিকিৎসক। মুর্শিদাবাদের কান্দি এলাকায় তাঁদের বাড়ি। পৌলমীর মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ থেকে ২০১৯ সালে তিনি এমবিবিএস পাশ করেন। পরে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ হিসাবে হাউস স্টাফশিপ এবং ইন্টার্নশিপ সম্পূর্ণ করে সরকারি চিকিৎসক হিসাবে যোগ দেন বহড়ার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সম্প্রতি পৌলমীর পরিবারে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে অশান্তি চলছিল বলে খবর। পৌলমীর পরিচিত এবং আত্মীয়দের একাংশের দাবি, এক যুবককে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন চিকিৎসক। কিন্তু পরিবারের তাতে মত ছিল না। শুক্রবার রাতে বাবার সঙ্গে ওই নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় চিকিৎসকের। এর পর ভাইকে নিয়ে দোতলার ঘরে চলে যান তিনি। কিছু ক্ষণ পর দিদির জন্য খাবার আনতে একতলায় আসেন ভাই। খাবার নিয়ে গিয়ে তিনি দিদির ঘরের দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু দরজা খোলেননি পৌলমী। বেশ কিছু ক্ষণ ধাক্কাধাক্কির পর দরজা খুলে যায়। তখন দিদিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার করেন ভাই। পরে পরিবারের অন্যান্য সদস্য চিকিৎসককে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতার বাবার অবশ্য দাবি, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিল মেয়ে। সেই কারণে আত্মহত্যা করেছে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, দেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় পৌলমীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত চলছে। চিকিৎসকের অকালমৃত্যুতে আইএমএ রাজ্য শাখার যুগ্ম সম্পাদক তথা মনোবিদ রঞ্জন ভট্টাচার্য দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, ‘‘ওই পরিবারের অনেকেই আমার রোগী। বিয়ের বিষয়ে পৌলমী অবসাদে ভুগছিলেন। সেই কারণে আত্মহত্যা কি না, সেটা পুলিশি তদন্তে স্পষ্ট হবে।’’