পঞ্চদশ সংশোধনী, হুল আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপসহ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে দায়ের করা রিটের শুনানির জন্য আগামী ৩০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (গতকাল) এই দিন নির্ধারণ করেন।
২০১১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীটি আনা হয়। ওই বছরের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে আইনটি পাস এবং ৩ জুলাই গেজেট প্রকাশ করা হয়। তবে সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে বিতর্ক উঠলে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি গত আগস্ট মাসে রিট করেন। অন্যান্য আবেদনকারীরা হলেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজ উদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।
রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে গত ১৯ আগস্ট হাইকোর্ট একটি রুল জারি করেন। রুলে পঞ্চদশ সংশোধনী আইন কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, সে প্রশ্নের জবাব চাওয়া হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও সংসদবিষয়ক সচিব, জাতীয় সংসদের সচিবসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়।
রিটের পক্ষে আইনজীবী রিদুয়ানুল করিম এবং রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। রুলের জবাব এখনো পাওয়া যায়নি বলে রিদুয়ানুল করিম মঙ্গলবার জানিয়েছেন।
পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপ ছাড়াও সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়। পাশাপাশি, অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকে রাষ্ট্রদ্রোহ বলে গণ্য করে এ ধরনের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান যুক্ত করা হয়। এছাড়া নির্বাচনের সময়সীমা সংক্রান্ত একটি পরিবর্তন আনা হয়, যেখানে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের পরিবর্তে পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বিধান যুক্ত করা হয়।
সুত্র: প্রথম আলো