পণের জন্য স্ত্রীকে খুনের, অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে! চলতি মাসেই একটি গাড়ির ডিকি থেকে ইংল্যান্ডের বাসিন্দা ২৪ বছর বয়সি ওই যুবতীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, নিহতের পরিবারের দাবি, পণের জন্যই হত্যা করা হয়েছে ওই যুবতীকে।
নিহত যুবতীর নাম হর্ষিতা ব্রেলা (২৪)। চলতি বছরের মার্চ মাসে ইংল্যান্ড-নিবাসী পঙ্কজ লাম্বার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল দিল্লির বাসিন্দা ওই মহিলার। তার পর থেকে ইংল্যান্ডেই থাকতেন তাঁরা। সপ্তাহখানেক আগে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান হর্ষিতা। কোনও ভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না তাঁর সঙ্গে। শেষমেশ ১৪ নভেম্বর পূর্ব লন্ডনের ব্রিসবেন রোডে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ির ডিকি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।
হর্ষিতার দিদি সোনিয়া সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, বিয়ের সময় যথাসাধ্য যৌতুক দিয়েছিলেন তাঁরা। সোনার গহনার পাশাপাশি দেওয়া হয়েছিল নগদ টাকাও। তা সত্ত্বেও পণের জন্য শুরু থেকেই তাঁর বোনকে চাপ দেওয়া হত। গত ২৯ অগস্ট স্থানীয় থানায় পঙ্কজ ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগও দায়ের করেছিলেন হর্ষিতা। তাঁর পরিবারের দাবি, পণের জন্যই তাঁদের মেয়েকে খুন করেছেন পঙ্কজ।
সোনিয়া বলছেন, ‘‘গত ১৫ নভেম্বর তাঁদের কাছে পূর্ব লন্ডনের একটি থানা থেকে ফোন আসে। জানানো হয়, হর্ষিতার দেহ উদ্ধার হয়েছে। খবর পেয়েই আমরা পঙ্কজের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। কিন্তু তার ফোন বন্ধ ছিল। যখন বিষয়টি পঙ্কজের পরিজনদের জানানো হয়, তাঁরা বিশেষ উদ্বিগ্নও হননি। এর পরেই আমাদের সন্দেহ হয়, সম্ভবত খুনের বিষয়টি আগে থেকেই জানতেন পঙ্কজের পরিবার।’’
যদিও ঘটনার পর থেকেই ফেরার পঙ্কজ। ইতিমধ্যেই পঙ্কজ ও তাঁর পরিবারের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। হর্ষিতাকে কারা কেন খুন করলেন, সে সব জানা যাবে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের পরেই।
সুত্র: আনন্দবাজার