28.1 C
Los Angeles
Thursday, December 19, 2024

বিশেষ সংবাদ Featured News

৩৮ বছর ধরে বিষাক্ত তেজস্ক্রিয়তার মধ্যে বাস, চেরনোবিলের পথকুকুরেরা এখন ‘সুপারডগ’!

বিজ্ঞানীদের ধারণা, চেরনোবিলের বিষাক্ত পরিবেশে মানিয়ে নিয়েছে...

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ প্রমোদতরি

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ প্রমোদতরি,আধুনিক সময়ের প্রমোদতরিগুলো...

শীতে কদর বেড়েছে খেজুর রসের

শীতে কদর বেড়েছে, আবহমান বাংলায় শীত মৌসুমে...

প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত কেবিন কোটালীপাড়ায়!

জাতীয়প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত কেবিন কোটালীপাড়ায়!

প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত কেবিন, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত দুটি কেবিন প্রায় ২১ মাস ধরে অকার্যকর অবস্থায় পড়ে আছে। এই কেবিনগুলোতে কোন প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে নির্ধারণ করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়, যা সাধারণ রোগীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চতুর্থ তলার দক্ষিণ পাশে অবস্থিত কেবিন দুটির দরজা মাসের পর মাস বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরেও কেবিনগুলো খুলে দেয়া হয়নি। ফলে রোগীদের সেবার মান বৃদ্ধি পায়নি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কেবিনগুলোর সামনে লেখা রয়েছে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত কেবিন’। এলাকাবাসীর ধারণা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য কেবিনগুলো নির্ধারিত হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদ্বোধনের পর থেকে শেখ হাসিনা একাধিকবার কোটালীপাড়া উপজেলায় এসেছেন, কিন্তু এই কেবিনে কখনোই স্বাস্থ্যসেবা বা বিশ্রাম নিতে আসেননি। এতে সাধারণ রোগীদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, কেন এই কেবিনগুলো নির্ধারিত রাখা হলো।

জানা গেছে, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত ১০০ শয্যাবিশিষ্ট কোটালীপাড়া উপজেলা কমপ্লেক্সের নতুন ভবনটি ২০২৩ সালের ৭ জানুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের দিন থেকেই প্রধানমন্ত্রীর জন্য দুটি কেবিন কক্ষ সংরক্ষিত রয়েছে।

কাজুলিয়া গ্রামের মো. মামুন বলেন, “সাবেক বা বর্তমান কোনো প্রধানমন্ত্রী এখানে কখনো স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসবেন না। তাই কেবিন দুটি বন্ধ রাখা মোটেই যৌক্তিক নয়। সরকার হাজার হাজার টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কেবিনগুলো খুলে দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।”

এ বিষয়ে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মৃদুল কুমার দাস বলেন, “স্বাস্থ্য বিভাগের বিধান অনুযায়ী, দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর এলাকায় প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তাদের জন্য কেবিন নির্ধারণ করে রাখা হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে দুটি কেবিন কক্ষ এখানে নির্ধারণ করা হয়েছিল। যেহেতু তিনি এখন প্রধানমন্ত্রী নেই, তাই উপজেলা স্বাস্থ্যসেবার আগামী সভায় এই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।”

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles