বাঁচাও! গাজ়ার বাসিন্দাদের, গাজ়ার বাসিন্দাদের ঘর কিংবা ত্রাণশিবিরের বাইরে বার করে আনার কৌশল! বিভিন্ন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় গিয়ে মহিলা এবং শিশুকণ্ঠে কেঁদে চলেছে ইজ়রায়েলি ড্রোন। কাতারি সংবাদমাধ্যম ‘আল জাজ়িরা’র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি এক মানবাধিকার কর্মীকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ‘কোয়াডকপ্টার’ নামের ইজ়রায়েলি ড্রোন বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বিভিন্ন শব্দ করছে। কখনও সেখান থেকে মহিলাকণ্ঠে ভেসে আসছে ‘বাঁচাও’ চিৎকার। কখনও কোনও শিশুর আর্তনাদ।
কিন্তু এই সব শব্দই ‘নকল’ বলে দাবি করেছেন মাহা হুসেইনি নামের ওই মানবাধিকার কর্মী। ইজ়রায়েল-হামাস দীর্ঘ সংঘাতে গাজ়া এখন কার্যত ধ্বংসস্তূপ। বাড়িঘর হারিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের অনেকেই ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। মাহার দাবি, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্যালেস্টাইনিদের বাইরে নিয়ে আসার জন্যই ওই কৌশল নিয়েছে ইজ়রায়েলের সেনা। তিনি জানিয়েছেন, গাজ়ার হাসপাতাল হতাহতদের নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করেছে, সেখানেও বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটির তরফে মাহাকে উদ্ধৃত করে আরও বলা হয়েছে যে, শব্দের উৎস অনুসরণ করে অনেকেই বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসছেন। কেউ আক্রান্ত হয়েছেন, এই ভেবে সাহায্যের জন্যও দৌড়ে আসছেন বহু মানুষ। সেই সময়েই ওই ড্রোনের মাধ্যমে হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। যদিও এই বিষয়ে ইজ়রায়েলি সেনার তরফে এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু জানানো হয়নি।
‘কোয়াডকপ্টার’ রিমোট দ্বারা পরিচালিত ড্রোন। মূলত নজরদারি, নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা বস্তুকে নিশানা এবং জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার কাজে এই ড্রোন ব্যবহার করে ইজ়রায়েলি সেনা। গত ৭ অক্টোবর প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইজ়রায়েলে হামলা চালানোর পর থেকে পাল্টা অভিযান করে ইজ়রায়েলি সেনা। এই অভিযানে ওই ড্রোন বহু বার ব্যবহৃত হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে। গাজ়াকে মূলত হামাস-মুক্ত করার লক্ষ্যে নামা ইজ়রায়েলের হানায় গত ১৪ মাসে ওই ভূখণ্ডে অন্তত ৪৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সেখানকার স্বাস্থ্য দফতর।