বুয়েট শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার বিষয়ে,বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে গত মঙ্গলবার ও বুধবার ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছেন। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। আগামীকাল শনিবার বুয়েট প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন শিক্ষার্থীরা, যেখানে তাঁদের ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
বুয়েটের ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের আহ্বানে মঙ্গলবার থেকে সব ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন শুরু করেন। সেই দিন বিকেলে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁদের দাবিগুলো তুলে ধরেন।
শিক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বুয়েট কর্তৃপক্ষ ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর হলের আসন বাতিল করে। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাঁদের অভিযোগে ৫৫ জনের নাম থাকলেও এর বাইরে আরও কিছু শিক্ষার্থীর আসনও বাতিল করা হয়েছে।
বুয়েটের একটি অংশের শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে ‘যথাযথ ব্যবস্থা’ দেখতে চাইছেন। এক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, বুয়েটের কোনো শিক্ষার্থী অনুমোদিত ক্লাব বা সোসাইটির বাইরে কোনো রাজনৈতিক দল বা এর অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না, কিংবা কোনো সংগঠনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুয়েট প্রশাসনের একজন শিক্ষক জানান, ছাত্ররাজনীতিতে সম্পৃক্ত হলে শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব বাতিলের মতো কঠোর শাস্তিও হতে পারে। এ বিষয়ে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আল আমিন সিদ্দিক বলেছেন, আগামীকাল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার পর সার্বিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আমরা আশা করছি, শিক্ষার্থীরা দ্রুত ক্লাসে ফিরে আসবেন।