ভারতের বিরোধীদলীয় নেতা ও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী চারদিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন। এই সফরে তিনি ভারতীয় প্রবাসীদের পাশাপাশি মার্কিন আইনপ্রণেতা, ব্যবসায়ী ও একাডেমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
রাহুল গান্ধী বাংলাদেশ প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন এবং মার্কিন সফরের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তাঁর দল কংগ্রেস বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিংবা ভবিষ্যতে যেকোনও সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। বাংলাদেশে উগ্রবাদের উত্থান ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, কংগ্রেস প্রধান পররাষ্ট্রনীতির ইস্যুতে মোদি সরকারের পাশে রয়েছে।
এছাড়া, ওয়াশিংটনে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে রাহুল গান্ধী বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বিষয়ে মোদির নীতির সমর্থন জানান। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ, এবং ইসরায়েল ইস্যুতে ভারতের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান বিষয়গুলোতে কংগ্রেসের সমর্থন প্রকাশ করেন। তবে, চীন নিয়ে মোদির নীতির সাথে তিনি একমত হননি এবং চীনা সৈন্যদের লাদাখে ভারতের অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন।
রাহুল গান্ধী যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ক্যাপিটলে বৈঠক করে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং বলেছেন, সহিংসতার বিরুদ্ধে তাঁর দলের অবস্থান পরিষ্কার। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে এবং ভবিষ্যতে যেকোনও সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা সম্ভব হবে।
পাকিস্তান ইস্যুতে রাহুল বলেন, সন্ত্রাসবাদের প্ররোচনা দুই দেশের সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং পাকিস্তান যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে থাকে তবে সমস্যার সমাধান হবে না। কাশ্মির ইস্যু নিয়ে তার মন্তব্য ছিল, এটি দুই দেশের সংলাপে বাধা সৃষ্টি করছে না।