শহীদুল হকের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্যের অভিযোগ, আদালতে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
প্রাক্তন আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বিভিন্ন টকশোতে আন্দোলন দমনের জন্য উসকানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। তদন্তকারীরা সরকার এবং পুলিশকে উসকানিমূলক পরামর্শ দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছেন। রিমান্ডে তাকে এসব বিষয় নিয়ে ভিডিও দেখানো হলে, তিনি কোন কিছু অস্বীকার করেননি, বরং পরিস্থিতির কারণে তার এমন পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করেছেন।
তিনি বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে সাবেক পুলিশ কর্তাদের বচনবাণী হতে বলা হয়েছিল। গ্রেপ্তারের পর তাকে সাত দিনের রিমান্ডে রাখা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আজ আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
তদন্তকারীরা জানান, শহীদুল হক ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে উসকানিমূলক মন্তব্য করেছেন এবং পুলিশকে নির্যাতন, গ্রেপ্তার এবং গণহত্যায় প্ররোচিত করেছেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, তদন্তে পাওয়া তথ্য আদালতের কাছে উপস্থাপন করা হবে এবং প্রয়োজনে পুনরায় রিমান্ড চাওয়া হতে পারে।
২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশের পর গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে। সাবেক ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদের নেতৃত্বে অভিযানের অভিযোগও রয়েছে। শহীদুল হক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এসব বিষয়ে আত্ম-স্বীকৃতির বয়ান দিয়েছেন।
এছাড়া, ৫ আগস্ট উত্তরা থেকে আসা গণমিছিলকে প্রতিরোধ করার জন্য শহীদুল হক ‘ডিসপাচ’ করার বার্তা পাঠিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই বার্তাগুলি তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে যাচাই করা হচ্ছে এবং প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হতে পারে।
সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ২০১৪ সালে আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পান এবং ২০১৮ সালে অবসরে যান। এরপর তিনি শরীয়তপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু দলীয় মনোনয়ন পাননি।