শেয়ারবাজারে বড় দরপতন, বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৪৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে, ফলে ডিএসইর সূচক ১৩২ পয়েন্ট পড়ে ৫ হাজার ৪৫৩ পয়েন্টে নেমে আসে, এবং বাজার মূলধন ৮ হাজার কোটি টাকা কমে ৬ লাখ ৭২ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। লেনদেনও কমেছে। এর আগের দিন, বেক্সিমকোর শেয়ার কারসাজির ঘটনায় ৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৪২৮ কোটি টাকা জরিমানা করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), যা দেশের শেয়ারবাজারে কারসাজির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় জরিমানা।
বুধবার বিনিয়োগকারীরা ডিএসইর সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন, যেখানে তারা বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকছুদের পদত্যাগ দাবি করেন এবং জাতীয় স্টক এক্সচেঞ্জ গঠনের প্রস্তাব তোলেন। বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করেন যে পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতনের কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
দিনের লেনদেনের হিসাবে, ডিএসইতে ৩৯৮টি কোম্পানির ১৬ কোটি ৬৮ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে যার মোট মূল্য ৪৪০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। ২৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ৩৪৭টির দাম কমেছে এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত ছিল। শীর্ষ লেনদেনকারী কোম্পানিগুলোর মধ্যে ছিল গ্রামীণফোন, লিন্ডে বিডি, ব্র্যাক ব্যাংক, সোনালি আঁশ, ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, মবিল যমুনা, এডিএন টেলিকম, ইবনেসিনা ফার্মা।
যেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম বেশি বেড়েছে, সেগুলো হলো দেশ গার্মেন্টস, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স, আফতাব অটোমোবাইলস, মেঘনা সিমেন্ট, আমান কটন, জিআইবি ও ডিবিএইচ প্রথম মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে, সবচেয়ে বেশি দরপতন হয়েছে ফু-ওয়াংফুড, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, ওরিয়ন ফার্মা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ডমিনেজ স্টিল, এবং শাইন পুকুর সিরামিকসের শেয়ারে।