সাকিব দেশে ফিরতে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট খেলে এই সংস্করণ থেকে বিদায় নিতে চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু নিরাপত্তাঝুঁকির কারণে শেষ পর্যন্ত দেশেই আসা হয়নি তাঁর। বিষয়টিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন অনেকেই। যদিও বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বিষয়টিকে সেভাবে দেখছেন না।
আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বোর্ড সভার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘যেটা বললেন যে শেষ টেস্ট খেলতে (ফিরতে পারেনি)…একেবারেই আমরা কোনোভাবে জড়িত নই এ ব্যাপারটায়। এটা হলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকার ও সাকিব আল হাসান (তাদের ব্যাপার)…। এখানে আমাদের পুরোপুরি অক্সিলারি একটা পার্ট নেওয়ার কথা ছিল।’
ব্যক্তিগতভাবে সাকিবকে দেশের মাটিতে অবসর নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার সব ধরনের চেষ্টা করেছেন বলে জানান বোর্ড সভাপতি, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনাদের সামনে যত কথাই বলি, আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি, যাতে সাকিব আল হাসান দেশ থেকে অবসরে যেতে পারে। আমার চেষ্টা আমি করেছি।’
পরে এ কথাও বলেছেন, ‘আমি সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে মনে করেছি যে একটা ছেলে ১৭ বছর ক্রিকেট খেলেছে, সে একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর, বাংলাদেশের জন্য অনেক করেছে, এ জন্য আম মনে করেছি, এটা (দেশ থেকে অবসর) হলে ভালো হতো। কিন্তু সঙ্গে অন্য জিনিসগুলোও তো দেখতে হবে আপনার। ওই জিনিসগুলো মিলিয়ে শেষ মুহূর্তে সে আসতে পারেনি, এটার ব্যাপারে বোর্ডের কিছু করার ছিল না। এটা পুরোপুরি আইনগত ব্যাপার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এতে জড়িত। সুতরাং এটা সাকিব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপার ছিল। বোর্ড এটার অংশ ছিল না। সে এলে বোর্ডের যতটুকু ক্ষমতা, আমরা তাকে নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করতাম। যেহেতু সে আসেনি, এটা নিয়ে আর কথা বলে লাভ নেই।’
পরে এ কথাও বলেছেন, ‘আমি সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে মনে করেছি যে একটা ছেলে ১৭ বছর ক্রিকেট খেলেছে, সে একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর, বাংলাদেশের জন্য অনেক করেছে, এ জন্য আম মনে করেছি, এটা (দেশ থেকে অবসর) হলে ভালো হতো। কিন্তু সঙ্গে অন্য জিনিসগুলোও তো দেখতে হবে আপনার। ওই জিনিসগুলো মিলিয়ে শেষ মুহূর্তে সে আসতে পারেনি, এটার ব্যাপারে বোর্ডের কিছু করার ছিল না। এটা পুরোপুরি আইনগত ব্যাপার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এতে জড়িত। সুতরাং এটা সাকিব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপার ছিল। বোর্ড এটার অংশ ছিল না। সে এলে বোর্ডের যতটুকু ক্ষমতা, আমরা তাকে নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করতাম। যেহেতু সে আসেনি, এটা নিয়ে আর কথা বলে লাভ নেই।’
সাকিবের রাজনৈতিক পরিচয়ের বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন বোর্ড সভাপতি, ‘সাকিব এখন শুধু একজন খেলোয়াড় নয়। তার একটা পরিচয় আছে যে গত সরকারের একজন এমপি ছিল এবং কিছু সেন্টিমেন্ট আছে (তাকে নিয়ে)। সব মিলিয়ে সরকারের দৃষ্টিকোণ ও ক্রিকেট বোর্ডের দৃষ্টিকোণ তো এক নয়।’
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়া সাকিব ওয়ানডে ক্রিকেটটা আরও কিছুদিন খেলতে চেয়েছিলেন। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে পাকিস্তানে হতে যাওয়া আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলে ৫০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেও বিদায় জানাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সে জন্য সাকিবকে আসন্ন দুটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলে প্রস্তুতি নিতে হতো। আগামী ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ দল আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাবে। ডিসেম্বরে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর।
আপাতত আফগানিস্তান সিরিজে সাকিবকে পাওয়া যাবে কি না, এ ব্যাপারে ফারুক আহমেদের কথা, ‘এখনো যেহেতু দল দেয়নি (ঘোষণা হয়নি), আমার মনে হয় সে অ্যাভেইলেবল আছে।’