২৪ বলে বিধ্বংসী হাফ, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে দুই ওপেনারই ভারতের জয়ের মঞ্চ গড়ে দেন। শেষ চারের হার্ডলে সিংহলিদের খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দেয় ভারতীয় দল।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হার দিয়ে যুব এশিয়া কাপ অভিযান শুরু করতে হলেও ভারত যে টুর্মামেন্টের অন্যতম ফেভারিট, সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। লিগের শেষ ২টি ম্যাচে জাপান ও আমিরশাহিকে খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দিয়ে মহম্মদ আমনরা সেমিফাইনালের টিকিট পকেটে পোরেন। এবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে দাপুটে জয় তুলে নিয়ে ভারত বোঝাল, কেন তারা খেতাব জয়ের অন্যতম দাবিদার।
শুক্রবার শারজায় চলতি যুব বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মাঠে নামে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা।যদিও তাদের সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক, সেই বিষয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। কেননা মাত্র ৮ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কার যুব দল।
নিয়মিত অন্তরে উইকেট খোয়াতে থাকা শ্রীলঙ্কা ৪৬.২ ওভারে ১৭৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৬৯ রান করেন লাকভিন আবেসিংহে। ১১০ বলের সতর্ক ইনিংসে তিনি ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ৭৮ বলে ৪২ রান করেন শরুজান শানমুগানাথন। তিনি ২টি চার মারেন।
বাকিদের মধ্যে দুই অঙ্কের রান করেন কেবল কবিজা গামাগে (১০) ও বিহাস থিউমিকা (১৪)। ভারতের হয়ে ৮ ওভারে ৩৪ রান খরচ করে ৩টি উইকেট দখল করেন চেতন শর্মা। ১০ ওভারে ৩২ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন কিরণ। ১০ ওভারে ৩৭ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন আয়ুষ মাত্রে। ১টি করে উইকেট নেন যুধাজিৎ গুহ ও হার্দিক রাজ।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ভারতের দুই ওপেনার বৈভব সূর্যবংশী ও আয়ুষ মাত্রে শুরু থেকে ঝড় তোলেন। প্রথম ২ ওভারে ৪৫ রান সংগ্রহ করে ভারত। তিন ওভারেই দলগত ৫০ রানের গণ্ডি টপকে যায় ভারতীয় দল। ওপেনিং জুটিতে ৮.৩ ওভারে ৯১ রান তুলে ফেলে ভারত।
বিধ্বংসী অর্ধশতরান বৈভব সূর্যবংশীর
শেষে ব্যক্তিগত ৩৪ রানের মাথায় আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন আয়ুষ। ২৮ বলের ইনিংসে তিনি ৭টি চার মারেন। চলতি যুব এশিয়া কাপের দ্রুততম অর্ধশতরান করেন ১৩ বছরের বৈভব সূর্যবংশী। তিনি ৫টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২৪ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ভারতীয় দল ১০ ওভারেই ১০০ রানের গণ্ডি টপকে যায়।
বৈভব ৩৬ বলে ৬৭ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। তিনি সাকুল্যে ৬টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন। ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৭ বলে ২২ রান করে আউট হন আন্দ্রে সিদ্ধার্থ। ক্যাপ্টেন মহম্মদ আমন ২৬ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ১৪ বলে ১১ রান করে নট-আউট থাকেন কেপি কার্তিকেয়া।
ভারত ২১.৪ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ১৭০ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে ফাইনালের টিকিট পকেটে পোরে ভারতীয় দল। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন বৈভব সূর্যবংশী।