রেমিট্যান্স প্রবাহের সুখবর: সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ১৪ দিনে এসেছে ১৪ হাজার ৬ কোটি টাকা
সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহের ধারাবাহিকতা আগস্টের মতোই বজায় রয়েছে, এবং চলতি মাসে গত মাসের তুলনায় আরও বৃদ্ধি হতে পারে। চলতি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে (১৪ দিনে) প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১১৬ কোটি ৭২ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে) ১৪ হাজার ৬ কোটি টাকার বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ১৪ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১১৬ কোটি ৭২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা প্রতিদিন গড়ে ৮ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। এই প্রবাহ অব্যাহত থাকলে পুরো মাসে আড়াই বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসতে পারে।
সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৪ দিনে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ১০টি, যার মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে কমিউনিটি ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকেই রেমিট্যান্স প্রবাহ ভালো রয়েছে এবং এ ধারা চলতে থাকলে মাস শেষে আড়াই বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসবে। বৈধপথে রেমিট্যান্স আসার সচেতনতা বাড়ছে এবং বৈধপথে ডলারের দাম বাড়ায় হুন্ডি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন প্রবাসীরা, যার ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহের গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দেশের ইতিহাসে একক কোনো মাসে সর্বোচ্চ ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে ২০২০ সালের জুলাইয়ে। বছরভিত্তিক হিসেবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে ২০২০-২১ অর্থবছরে, যেখানে মোট রেমিট্যান্স ছিল ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরের জুন মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে ২৫৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, সদ্য বিদায়ী আগস্ট মাসে বৈধপথে রেমিট্যান্স এসেছে ২২২ কোটি ডলার, যা গত বছরের আগস্ট মাসের তুলনায় ৬২ কোটি ডলার বেশি। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, এবং জুন মাসে এসেছে ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ ডলার। মে মাসে রেমিট্যান্স ছিল ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলার এবং জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ডলার।