তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি,সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ফোনের চাহিদা বেড়েছে বহির্বিশ্বের ন্যায়, এবং এই চাহিদার সাথে মোবাইল সম্পর্কিত সেবাখাতের চাহিদাও অনেক বেড়েছে। এই সেবাখাতে কাজ করছে প্রশিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা, যারা নিজেদের দক্ষতা ও যোগ্যতা প্রমাণ করার পাশাপাশি বেকারত্ব দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তারা দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখছে। এই পেশায় তরুণদের আরও অনুপ্রাণিত করতে আইফিক্স ফার্স্ট প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছে টেক ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৪। গত ২৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় জাদুঘরে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তরুণ-তরুণীদের এই পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজক ও মোবাইল সার্ভিসিং প্রতিষ্ঠান আইফিক্স ফার্স্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা এই খাতের উন্নয়নের জন্য কাজ করছি।
আমাদের লক্ষ্য হলো তরুণদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করা এবং তাদের দেশের সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা। আগামীতে তরুণরা যেন এই খাতে আগ্রহী হয়, সেই উদ্দেশ্যে আমরা এই ক্ষুদ্র আয়োজন করেছি।” মোবাইল প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা জনপ্রিয় টেক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ওয়াহিদ উদ্দিন বলেন, “যারা বর্তমানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তারা আগামীতে বাংলাদেশের এই শিল্পকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরতে সক্ষম হবেন।
আমাদের দেশকে আগামী টেক দুনিয়ায় এগিয়ে নিতে হলে তরুণদের প্রশিক্ষিত হতে হবে। এই খাতে দেশের অনেক তরুণের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।” আরেক জনপ্রিয় টেক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর সোহাগ মিয়া বলেন, “টেক দুনিয়ায় জানার শেষ নেই।
একজন সফল ব্যক্তির কাছেও অনেক অজানা থাকে। যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তারা অনেক কিছু জানলেও, শেখার আর অনেক কিছুই বাকি। আপনাদেরই আগামীতে এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে। এটি একটি সম্ভাবনাময় খাত এবং সঠিক পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন রয়েছে। এখানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।
এমন উদ্যোগ গ্রহণকারীদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।” এই আয়োজনে প্রধান আকর্ষণ ছিল মোবাইল সার্ভিসিংয়ে ১৫০ জন নতুন প্রশিক্ষণার্থীকে সার্টিফিকেট প্রদান এবং দেশের সেরা ৮০ জন মোবাইল সার্ভিসিং টেকনেশিয়ানের হাতে সম্মাননা প্রদান। আয়োজকদের কাছ থেকে সম্মাননা পেয়ে অনেক প্রশিক্ষণার্থী ও টেকনেশিয়ান উচ্ছ্বসিত।