আমি কোনো রাক্ষসের মুখোমুখি হইনি,গত ৮ আগস্ট রাতে কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়, যা নিয়ে উত্তাল কলকাতা। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর মালায়ালাম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে হেমা কমিটির রিপোর্ট নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের তিক্ত অভিজ্ঞতা প্রকাশ করছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রীরাও। এ বিষয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র। তার সঙ্গেও কি এমন কোনো তিক্ত ঘটনা ঘটেছে?
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুক্মিণী মৈত্র বলেন, “আসলে এই বিষয়ে সবার অভিজ্ঞতাই ভিন্ন ও ব্যক্তিগত। আমি খুব ছোটবেলা থেকে কাজ করছি, মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকেই। সত্যি বলতে, আমি কখনো কোনো খারাপ ঘটনার মুখোমুখি হইনি। ছোটবেলায় মা আর দিদার সঙ্গে কাজের সময়ও না, আবার যখন ১৮ বছর বয়সে একা কাজ শুরু করলাম, তখনও না। মুম্বাই, দিল্লি, কলকাতা, এমনকি বিদেশের বিভিন্ন জায়গায়ও কাজ করেছি, এবং ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়ে আসছি। তবে আমার কখনো তেমন কোনো তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়নি। আমার অভিজ্ঞতা বরং ভালো ছিল।”
ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, তবে অনেক মহিলার অভিজ্ঞতা আলাদা। অনেকেই অনেক খারাপ অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন। হয়তো যিনি আমার সঙ্গে ভালো আচরণ করেছেন, তিনি অন্য কারও সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন। তাই, যার সঙ্গে যা ঘটে, একমাত্র সে-ই তা বুঝতে পারে। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই, আমি কখনো তেমন কোনো রাক্ষসের মুখোমুখি হইনি। তবে এটাও বলতে পারি না যে, এসব ঘটনা ঘটে না। যাদের সঙ্গে এমনটা ঘটেছে, তা সত্যিই দুঃখজনক।
রুক্মিণী মৈত্র বলেন, আসলে আরজি করের ঘটনার পর থেকে অনেক কিছু বদলাচ্ছে এবং অনেক কিছু সামনে আসছে। তবে যৌন হেনস্তার বিষয়টি শুধু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেই সীমাবদ্ধ নয়, এটা সর্বত্রই ঘটে। যদিও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে বেশি আলোচনা হয়, কিন্তু অন্য অঙ্গনেও এমন ঘটনা ঘটে, এবং হয়তো আরও ভয়াবহভাবে। আমরা অভিনেতা-অভিনেত্রীরা কোনো কিছু ঘটলে সেটি নিয়ে ফেসবুকে লিখতে পারি, প্রকাশ্যে কথা বলতে পারি। কিন্তু অন্য পেশায় থাকা মানুষদের সেই সুযোগ নেই। তারা ভয় পায়, কারণ তাদের কিছু বললে হয়তো তা খবরে চলে আসবে। অথচ অন্য সেক্টরের কেউ মুখ খুললে হয়তো তার চাকরিটাই চলে যাবে। তাই আমি মনে করি, এই বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ শুধু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেই নয়, বরং সর্বক্ষেত্রে হওয়া উচিত।
রুক্মিণী মৈত্র বলেন, আসলে আরজি করের ঘটনার পর থেকে অনেক কিছু বদলাচ্ছে এবং অনেক কিছু সামনে আসছে। তবে যৌন হেনস্তার বিষয়টি শুধু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেই সীমাবদ্ধ নয়, এটা সর্বত্রই ঘটে। যদিও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে বেশি আলোচনা হয়, কিন্তু অন্য অঙ্গনেও এমন ঘটনা ঘটে, এবং হয়তো আরও ভয়াবহভাবে। আমরা অভিনেতা-অভিনেত্রীরা কোনো কিছু ঘটলে সেটি নিয়ে ফেসবুকে লিখতে পারি, প্রকাশ্যে কথা বলতে পারি। কিন্তু অন্য পেশায় থাকা মানুষদের সেই সুযোগ নেই। তারা ভয় পায়, কারণ তাদের কিছু বললে হয়তো তা খবরে চলে আসবে। অথচ অন্য সেক্টরের কেউ মুখ খুললে হয়তো তার চাকরিটাই চলে যাবে। তাই আমি মনে করি, এই বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ শুধু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেই নয়, বরং সর্বক্ষেত্রে হওয়া উচিত।
২০১৭ সালে রুক্মিণী মৈত্র তার চলচ্চিত্র যাত্রা শুরু করেন ‘চ্যাম্প’ সিনেমার মাধ্যমে, যেখানে তিনি জনপ্রিয় অভিনেতা দেবের সঙ্গে জুটি বাঁধেন। এরপর একসঙ্গে তারা ‘ককপিট’, ‘কবীর’, ‘কিডন্যাপ’ ও ‘পাসওয়ার্ড’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেন, যেখানে তাদের পর্দার রসায়ন দর্শকদের মন জয় করে নেয়। এই রসায়ন তাদের ব্যক্তিগত জীবনেও প্রতিফলিত হয়েছে। রুক্মিণীর পরবর্তী সিনেমা ‘টেক্কা’, যেখানে দেব প্রযোজনার পাশাপাশি অভিনয়ও করেছেন।