৫০০ কোটির জালিয়াতি,সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর মাদক মামলায় নাম জড়িয়েছিল। তবে সেসব এখন অতীত, পুরনো বিতর্ক ভুলে নতুন করে কাজ শুরু করেছিলেন রিয়া চক্রবর্তী। তবে এবার ফের বিপাকে রিয়া। এবার ৫০০ কোটির জালিয়াতির মামলায় রিয়াকে ডেকে পাঠাল দিল্লি পুলিশ। তবে শুধু রিয়া নন, এই মামলায় নাম জড়িয়েছে এলভিশ যাদব ও ভারতী সিং-এরও। অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন আরও অনেকে।
ঘটনার সূত্রপাত হাইবক্স মোবাইল অ্যাপের কারণে। অভিযোগ গ্রাহকরা এই অ্যাপ ব্যবহার করে মোট ৫০০ কোটি টাকা খুইয়েছেন। এই অ্যাপের মাধ্যমে মানুষকে বিনিয়োগ করতে বলে লিগ সুদ সহ টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। মোট ৫০০ কোটির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। এই অ্যাপ নিয়ে শয়ে শয়ে অভিযোগ জমা পড়ে দিল্লি পুলিশের কাছে। মোট ৩০ হাজার মানুষ প্রতারণার শিকার বলে জানানো হয়েছিল। প্রসঙ্গত সোশ্যাল মিডিয়ায় তারকাদের প্রচারমূলক বিজ্ঞাপন দেখেই এই অ্যাপে বিনিয়োগ করেছিলেন অনেকে।
জানা যাচ্ছে, হাইবক্স মোবাইল অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত একটি মামলায় অভিনেতা রিয়া চক্রবর্তী, কমেডিয়ান ভারতী সিং এবং ইউটিউবার এলভিশ যাদবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর রিয়ার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগও এনেছিল অভিনেতার পরিবার। সুশান্তের মৃত্যুর পর মাদক মামলায় গ্রেফতারও করা হয় রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর ভাইকে।
দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (আইএফএসও) হেমন্ত তিওয়ারি সংবাদ সংস্থা PTI-কে বলেন, ‘এই অ্যাপের মাধ্যমে অভিযুক্তরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে এক মাসে ৩০ থেকে ৯০ শতাংশ দৈনিক এক থেকে পাঁচ শতাংশ রিটার্নের গ্যারান্টি রয়েছে।
হাইবক্স কেলেঙ্কারি কীভাবে কাজ করেছিল
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি (২০২৪) মাস থেকে বাজারে এসেছিল এই অ্যাপ। যেখানে ৩০,০০০ এরও বেশি লোককে অর্থ বিনিয়োগে প্ররোচিত করতে সক্ষম হয়েছি এই অ্যাপ। অ্যাপটি বিনিয়োগকারীদের গত জুন পর্যন্ত প্রতিশ্রুত রিটার্ন প্রদান করেছিল, তবে তারপরে প্রযুক্তিগত ত্রুটি, জিএসটি সমস্যা, আইনি সমস্যা ইত্যাদির কারণে অর্থ প্রদান এবং প্রত্যাহার ও আটকে দেওয়া শুরু করে। পুলিশ জানিয়েছে, এই কেলেঙ্কারিতে মূল অভিযুক্ত চেন্নাইয়ের বাসিন্দা শিবরামকে (৩০) ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
অভিযোগ অনুসারে, অভিনেতা রিয়া চক্রবর্তী এবং ইউটিউবার সৌরভ জোশী, অভিষেক মালহান, পূরব ঝা, এলভিশ যাদব, ভারতী সিং, হর্ষ লিম্বাচিয়া, লক্ষণ চৌধুরী, আদর্শ সিং, অমিত এবং দিলরাজ সিং রাওয়াত তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলিতে অ্যাপটির প্রচার করেছিলেন। ডিসিপি জানাচ্ছেন, ‘হাইবক্স একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন যা একটি সুপরিকল্পিত কেলেঙ্কারির অংশ ছিল’।
পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা দুটি পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম ইজবাজ এবং ফোনপে-র ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে। পুলিশ জানিয়েছে যে অ্যাপগুলি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (আরবিআই) দ্বারা জারি করা নির্দেশিকা মেনে চলেনি।
সুত্র: হিন্দুস্থান টাইম