রাখাইনে বাস্তুচ্যুতদের সুরক্ষার, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বাস্তুচ্যুতদের সুরক্ষায় জাতিসংঘের মাধ্যমে একটি নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং তাদের সহায়তার উপায় বের করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এটি রাখাইনের চলমান সংকট সমাধানে একটি কার্যকর পদক্ষেপ হতে পারে এবং বাংলাদেশে নতুন শরণার্থীর ঢল ঠেকাতে সাহায্য করবে।
আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার থমাস অ্যান্ড্রুজের সঙ্গে এক বৈঠকে ড. ইউনূস এই আহ্বান জানান। মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার সময়, থমাস অ্যান্ড্রুজ রাখাইন সংকট মোকাবিলায় ড. ইউনূসের জাতিসংঘে উত্থাপিত তিন দফা প্রস্তাবের প্রশংসা করেন।
থমাস অ্যান্ড্রুজ বলেন, রাখাইনে চলমান সহিংসতা ভয়াবহ মানবিক সংকটের সৃষ্টি করেছে, যেখানে বাস্তুচ্যুত ও অনাহারী মানুষের জন্য জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। তিনি আরও জানান, মিয়ানমারে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যার মধ্যে রাখাইন রাজ্যে কয়েক লাখ রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে, যেখানে কক্সবাজারে ইতোমধ্যে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রিত রয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস রাখাইনে সহিংসতা বন্ধে এবং বাস্তুচ্যুতদের সহায়তার জন্য আসিয়ানসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেন। এছাড়া, তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে থমাস অ্যান্ড্রুজের সহযোগিতা চান। বৈঠকে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের তদন্ত এবং বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে ঘটে যাওয়া গণ–অভ্যুত্থানের বিষয়েও আলোচনা হয়।
সুত্র: বাসস