পানি সেচ দেখতে বিদেশ, অর্থনৈতিক সংকট ও সরকারি নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও প্রশিক্ষণের নামে বিদেশ সফরের পরিকল্পনা করা হয়েছিল কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত একটি প্রকল্পে। প্রকল্পটির অধীনে বিদেশ সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন কর্মকর্তারা, যার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। তবে পরিকল্পনা কমিশনের আপত্তির মুখে বিদেশ সফরের প্রস্তাব বাতিল হতে যাচ্ছে, ফলে অপচয়ের হাত থেকে এই অর্থ বাঁচানো সম্ভব হবে।
‘সিলেট বিভাগে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি’ প্রকল্পটির অধীনে সেচ ব্যবস্থা উন্নত করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৯৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, যা পুরোপুরি সরকারি তহবিল থেকে খরচ হবে। ২০২৯ সালের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে, এবং এটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)।
এই প্রকল্প প্রস্তাবের ব্যাপারে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন যে এমন একটি সাধারণ প্রকল্পে কর্মকর্তাদের বিদেশে প্রশিক্ষণ নেওয়ার প্রয়োজন কতটুকু। যদি সেচের কাজ শিখতে যেতে হয়, তা হলে তা হাস্যকর এবং অযৌক্তিক প্রস্তাব বলে মনে করা হবে। পরিকল্পনা কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মো. ছায়েদুজ্জামান বলেন, প্রথম পিইসি (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) সভায় বৈদেশিক প্রশিক্ষণ বা স্টাডি ট্যুরের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছিল, তবে আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে তা বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিদেশ সফরের প্রস্তাব বাতিল হলেও যারা এমন প্রস্তাব দিয়েছেন, তাদের কোনো জবাবদিহির আওতায় আনা হয়নি। ফলে বারবার এমন অযৌক্তিক প্রস্তাব আসছে। সেচের মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের আরও ২৯ লাখ ৯ হাজার ৫২৯ হেক্টর জমি সেচের আওতায় আনার সুযোগ রয়েছে।
সুত্র: যুগান্তর