ঘূর্ণিঝড় দানা হতে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ শক্তি বৃদ্ধি পেয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর ইতিমধ্যেই দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলেছে। পূর্বে দেওয়া ২ নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত পরিবর্তন করে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ ভারতের ওডিশা উপকূলের দিকে ধাবিত হতে পারে, তবে এর প্রভাব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে, বিশেষ করে খুলনা ও বরিশাল এলাকায়, কিছুটা অনুভূত হতে পারে। যদিও এর সুনির্দিষ্ট আঘাতের স্থান এখনো নিশ্চিত নয়, বাংলাদেশে এর প্রভাব তুলনামূলক বেশি হতে পারে কারণ ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথের ডান দিকে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল রয়েছে।
বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং কক্সবাজার বন্দর থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার সময় ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি আরও পশ্চিম ও উত্তর–পশ্চিম দিকে এগোতে পারে এবং ধীরে ধীরে শক্তিশালী হতে পারে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।