২২০০ মাইল পাড়ি, অস্ট্রেলিয়ায় পেঙ্গুইনের বসবাস নতুন কিছু নয়। কিন্তু দেশটিতে সম্প্রতি একটি পেঙ্গুইন নিয়ে চলছে আলোচনা, যা আবার বিরল এক ঘটনার জন্ম দিয়েছে। প্রথমবারের মতো সম্রাট প্রজাতির এক পেঙ্গুইনের দেখা মিলেছে দক্ষিণ-পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ডেনমার্ক শহরের একটি পর্যটন সমুদ্র সৈকতে। এ পর্যন্ত ঠিকাছে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হচ্ছে এই প্রজাতির পেঙ্গুইনের বসবাস অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে। সেখান থেকে প্রায় ২ হাজার ২০০ মাইল (৩ হাজার ৫৪০ কিলোমিটার) পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে অস্ট্রেলিয়ায়। এমন ঘটনায় অবাক হয়েছেন দেশটির বিজ্ঞানীরাও।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
স্কাই নিউজ জানায়, গত ১ নভেম্বর এই প্রজাতির পেঙ্গুইনের দেখা পাওয়া যায়। এটি অপুষ্টিজনিত একটি সম্রাট পেঙ্গুইন। পেঙ্গুইনের প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ওজন থাকে সম্রাট প্রজাতির। এদের উচ্চতা এক মিটারের একটু বেশি হয়। আর ওজন হয় ৪০ থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত। কিন্ত এক মিটার উচ্চতার এই পেঙ্গুইনটির ওজন ছিল ২৩ কেজি।
ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার গবেষক বেলিন্ডা ক্যানেলের মতে, সম্রাট হল বৃহত্তম পেঙ্গুইন প্রজাতি। এই প্রজাতির পেঙ্গুইন এর আগে অস্ট্রেলিয়ায় দেখা যায়নি।
তিনি বলেছেন, কেন এতো দীর্ঘ যাত্রা করে এটি এসেছে তার কোনও ধারণা নেই, যদিও এর আগে কিছু সম্রাটকে নিউজিল্যান্ডে দেখা গেছে।
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার জীববৈচিত্র্য ও সংরক্ষণ বিভাগ জানিয়েছে, সামুদ্রিক পাখি পুনর্বাসনকারী ক্যারল বিডুলফ পেঙ্গুইনটির যত্ন নিচ্ছেন। এই সময়ে অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া উষ্ণ হওয়ায় জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে ঠাণ্ডা পানির স্প্রে করা হচ্ছে।