হায়দরাবাদ থেকে বিকালের বিমানে কলকাতায় পা রেখেছেন ‘বার্থডে বয়’। জানালেন, পায়েস আর প্রতিবাদ দিয়ে এ বছরের উদ্যাপন।
প্রথম তেলুগু ছবি ‘দক্ষিণ’ মুক্তি পাচ্ছে পুজোর আগে। জন্মদিনে সেই আনন্দে মেঘমুলুকে ঋষভ বসু। প্রচারের কাজে হায়দরাবাদে ছিলেন অভিনেতা। রবিবার, বিশেষ দিনে বিকালের বিমানে ফিরেছেন শহরে। বিমানবন্দরে পা রেখেই ফোনে আনন্দবাজার অনলাইনের মুখোমুখি। বাংলাদেশের অভিনেত্রী আজ়মেরি হক বাঁধন আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন! ফোনের ও পারে কণ্ঠস্বরে লজ্জা আর তৃপ্তির বাতাস। ঋষভ বললেন, “আমি ওঁর ছবির, ওঁর অভিনয়ের ভক্ত। বাংলাদেশে সদ্য ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থানের সময় আলাপ। কথা হত। বাঁধন তখন জানিয়েছিলেন, সিরিজ় ‘শ্রীকান্ত’-সহ আমার একাধিক কাজ তিনি দেখেছেন। ভাল লেগেছে। সেই জায়গা থেকেই হয়তো শুভেচ্ছা।” বাঁধন কি তাঁর প্রত্যেক অনুরাগীকেই এ ভাবে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান? প্রত্যুত্তরে ফোনের ও পারে শুধুই হাসি।
ঋষভের এ বছরের জন্মদিন অনেকটাই অন্য রকম। এক দিকে, নতুন ছবির প্রচার। অন্য দিকে, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে অংশগ্রহণ। এক ধাক্কায় অনেকটা ‘বড়’ হয়ে গেলেন?
প্রশ্নের জবাবে তাঁর স্বীকারোক্তি, “খাঁটি কথা। জন্মদিন মানেই এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। এ বছরের জন্মদিন আমায় আরও পরিণতমনস্ক করে দিল। আন্দোলনে অংশ নিচ্ছি। সেখানে দায়িত্বপালন করছি। কোনও দিন ভাবিনি, শহরের এই প্রতিবাদী রূপের সাক্ষী থাকব।” পরিণত ঋষভ তাই কেক কাটবেন না। উপহার দেওয়া-নেওয়ার ঝুলিটাও এ বছর ফাঁকাই থাকবে হয়তো। মায়ের হাতের পায়েস আর পায়ে পায়ে প্রতিবাদ— এই দিয়ে ভিন্ন স্বাদের উদ্যাপন তাঁর। কথায় কথায় এ-ও জানালেন, তাঁর দক্ষিণী ছবির বিষয়ও সিরিয়াল কিলার আর পুলিশ নিয়ে। খুনি কেবল মেয়েদের খুন করে। তাকে ধরতে প্রশাসনের হিমশিম দশা। স্বাভাবিক ভাবেই প্রচারেও বারে বারে আরজি কর-কাণ্ড উঠে এসেছে।
সুত্র: আনন্দবাজার