জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি চাল অবৈধভাবে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান, সচিব এবং দুই সদস্যসহ মোট নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। মামলার আসামিদের মধ্যে তিলকপুর ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম মাহবুব, সচিব মো. সাজেদুল ইসলাম, এবং সদস্য মামুনুর রশিদ পিন্টু ও বাদশা আলমের নাম রয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার, র্যাব একটি গুদাম থেকে ৬ দশমিক ২ টন সরকারি চাল জব্দ করে, যার বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ ৭২ হাজার ৮০০ টাকা। এই ঘটনায় রিতুল দাস ও সাজেদুর রহমান নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়, এবং পরে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
র্যাবের ভাষ্যমতে, ইউনিয়ন পর্যায়ে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত চালগুলো রিতুল ও সাজেদুর মজুত করে রেখে, তা অবৈধভাবে কালোবাজারে বিক্রি করছিলেন। সরকারি চালের বস্তা বদলে মাছের ফিডের বস্তায় রেখে এই চালগুলো বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছিল। অভিযানে ১২৪টি চালের বস্তা উদ্ধার করা হয়, যার মধ্যে ৬ দশমিক ২ মেট্রিক টন চাল ছিল।
এই চালে কালোবাজারি করার কাজে সহায়তা করেন ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম মাহবুব, সচিব মো. সাজেদুল ইসলাম, এবং ইউপি সদস্য মামুনুর রশিদ পিন্টু ও বাদশা আলম। চালগুলো রেশমা চাল মিলে মজুত করে রেখে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছিল।
র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর আসিফ আল রাজেক জানিয়েছেন, আটক দুই ব্যক্তিকে চালসহ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং ইউপি চেয়ারম্যানসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম মাহবুবের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়, এবং ইউপি সচিব সাজেদুল ইসলামের ফোনে যোগাযোগ করা হলে একজন জানান, তিনি বাসায় নেই।
আক্কেলপুর থানার ওসি নয়ন হোসেন জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।