ভারত-বাংলাদেশ ইলিশ বাণিজ্য, অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জাতীয় স্বার্থ এবং উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের জন্য প্রশংসা পেয়েছি। বিভিন্ন জায়গা থেকে বলা হয়েছে, এটি একটি ভালো সিদ্ধান্ত।
আজ রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘যে পরিমাণ ইলিশ রপ্তানি করা হচ্ছে, তা চাঁদপুর ঘাটের এক দিনের ইলিশের চেয়েও কম। অনেক ভাবনা-চিন্তা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আবেগ দিয়ে বিচার করলে লাভ নেই।
গতকাল শনিবার, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকার ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেয়। তবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ সিদ্ধান্ত তাদের নয়; বরং তাদের আপত্তি সত্ত্বেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
ইলিশ রপ্তানি না হওয়ার বিষয়ে কিছু মহল থেকে আপত্তি উঠলেও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তিন হাজার টন রপ্তানি হবেই। আমাদের বছরে ৫ লাখ ৩০ হাজার টন ইলিশ উৎপাদন হয়। এর মধ্যে তিন হাজার টন খুবই সামান্য পরিমাণ, যা চাঁদপুর ঘাটের এক দিনের ইলিশের চেয়েও কম। দায়িত্বশীল মহল থেকে একজন আপত্তি করলেও, আরও উচ্চ পর্যায়ের মহল থেকে বলা হয়েছে রপ্তানি করা যেতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, এবং ইলিশ রপ্তানির মাধ্যমে বাণিজ্যিক সুবিধা আসবে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে, এবং রপ্তানি না করলে চোরাচালানের সম্ভাবনা বাড়বে।
ভারতে ইলিশ রপ্তানির ফলে দেশে ইলিশের দাম বাড়বে কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাজারে দাম এমনিতেই ব্যবসায়ীরা বাড়িয়ে থাকে। ইলিশ রপ্তানির কারণে দাম বাড়বে না। যদিও কিছু মানুষের সমস্যা হতে পারে, তবে আমি মনে করি না এটি বড় কোনো ক্ষতি করবে। আমরা প্রতিবেশী হিসেবে ভারসাম্য বজায় রাখতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে সস্তা দামে পেঁয়াজ আসছে না? তাহলে তাদের পেঁয়াজ খাওয়া বন্ধ করে দেন। এসব আবেগতাড়িত কথা বলে লাভ নেই। ওরা পেঁয়াজের শুল্ক কমিয়ে দিয়েছে, তাই পেঁয়াজ আসছে।