কানপুর টেস্টের উইকেট, আইকিউ এয়ারের হিসাবে কানপুর ভারতের অন্যতম দূষিত শহর, দূষিত শহরগুলোর তালিকায় সপ্তম স্থানে। এমন দূষণ ঢাকা দিতে কি স্টেডিয়ামের নাম রাখা হয়েছে ‘গ্রিন পার্ক’? যদিও এটি মজার ছলে বলা, কিন্তু স্টেডিয়ামের চারপাশে অনেক সবুজায়ন আছে, সাথে বয়ে যাচ্ছে গঙ্গা নদী।
তবে, মাঠের সেই ২২ গজে কিন্তু সবুজের ছোঁয়া নেই, বরং উইকেটটি কালো মাটির। ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, কানপুরের গ্রিন পার্কে কালো মাটির উইকেট ব্যবহৃত হবে। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটের মতো, যা ব্যাটসম্যানদের জন্য এক কঠিন পরীক্ষা।
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের কালো মাটির উইকেটের কুখ্যাতি আছে, যেখানে ব্যাটিং করা বেশ কঠিন এবং রান ওঠানো আরও কঠিন। তবে কানপুরের উইকেট তার বিপরীত, বেশ সমান এবং ব্যাটসম্যানদের পক্ষে, যা অনেকেই ‘বিলিয়ার্ডস টেবিল’ বলে থাকেন। কারণ, বল সোজা আসে এবং বাউন্স করে না, যদিও একটু ধীরগতির।
গ্রিন পার্ক ভারতের অন্যতম প্রাচীন ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ৭৯ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয়েছে একজন ব্রিটিশ নারী, ম্যাডাম গ্রিনের নামে, যিনি এখানে ঘোড়া চালনা শিখতেন। পাশাপাশি, এখানে প্রয়াত ক্রিকেট কোচ বব উলমারের স্মৃতিও সংরক্ষিত আছে। তাঁর নামেই হাসপাতালের একটি ওয়ার্ড রয়েছে।
কানপুরের উইকেট ঐতিহ্যগতভাবে ব্যাটসম্যানদের সহায়ক হলেও সময়ের সাথে সাথে বল ধীরগতিতে আসতে শুরু করবে এবং স্পিনারদের প্রাধান্য দেখা দেবে। উইকেটে আর্দ্রতা থাকলে সকালে পেসাররাও কিছু সুবিধা পাবেন। তবে, বাউন্স ও বলের গতি তেমন বেশি সময় টিকবে না, বিশেষ করে ম্যাচের মাঝামাঝি সময়ে স্পিনারদের প্রভাব বাড়বে।
সাকিব আল হাসান চোট পেয়েছেন, তবে তিনি কানপুর টেস্টে অলরাউন্ডার হিসেবে খেলার সম্ভাবনা রাখেন। তার বাঁহাতি স্পিনের সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজের অফ স্পিনও দলে থাকবে।
ভারতের শীর্ষ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ডানহাতি, তাই বাংলাদেশ তাইজুল ইসলামকে তৃতীয় স্পিনার হিসেবে খেলাতে পারে। ভারতের ক্ষেত্রে, রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাদেজার সাথে কুলদীপ যাদব বা অক্ষর প্যাটেলকে তৃতীয় স্পিনার হিসেবে মাঠে নামানো হতে পারে।
কানপুরের পিচে স্পিনারদের প্রাধান্য থাকার কারণে, টেস্ট ম্যাচের শেষদিকে বল আরও বাঁক নিতে পারে। তবে, ‘র্যাঙ্ক টার্ন’ পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। পেসাররা শুরুতে কিছু সুবিধা পেলেও, দিনের শেষে স্পিনারদের লড়াইতেই ম্যাচের ফল নির্ধারণ হতে পারে।