ঈদের ছুটি নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বিতর্ক চলছে। রমজানের ২৯ তারিখ, অর্থাৎ ৯ এপ্রিল, সরকারি অফিস খোলা থাকবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছে। যদিও সরকার প্রথমে এই দিনটি অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে এরপরে ঈদের ছুটির সংবেদনশীলতা নেওয়ার বিবাদ উঠেছে। পরিণতি হতে পারে কোন সিদ্ধান্ত।
রমজানের ৩০ তারিখের আলোর মাধ্যমে ঈদের তারিখ নির্ধারণ হয়। তার উপর ভিত্তি করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ঈদের তারিখ নির্ধারণে মত এসেছে যে রমজানের ৩০ তারিখেই ঈদ হবে, তাই এই সালের ছুটি ঠিক করা হয়েছে।
এবারকার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধানগণের সঙ্গে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়নি। এই কারণে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি নিয়ে নিশ্চিতি নেওয়া হয়নি।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখন চুক্তিভিত্তিতে এই ছুটিতে অন্যান্য ছুটি পেতে পারবেন কিনা তা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বেগে অপেক্ষা করছে।
৯ এপ্রিল ছুটির সুপারিশ
রোববার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা থেকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৯ এপ্রিলও ছুটি রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। সভা শেষে কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ কথা জানান। তিনি বলেন, মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারেন, সে জন্য এ সুপারিশ করা হচ্ছে। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক আছে। সেই বৈঠকে এ কমিটির সুপারিশ যাবে।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি ছুটি (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) আছে ১০ থেকে ১২ এপ্রিল।
তবে সিদ্ধান্ত যা-ই হোক, বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২৮ রমজানের পর সরকারি অফিস ঢিলেঢালা শুরু হয়। খুব একটা জরুরি কাজ থাকে না। তেমন চাপও থাকে না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে শিথিলতা কাজ করে।
এরই মধ্যে অনেকে টানা ছুটি কীভাবে এবং কোথায় কাটানো যায়, তা নিয়ে হিসাব–নিকাশ শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। কোনো কোনো কর্মকর্তা জানান, ৯ এপ্রিল ছুটি না হলে ৮ ও ৯ তারিখ ছুটি নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন অনেকে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মাঝখানে ছুটি না নিয়ে তিনি ১৪ এপ্রিলের পর ছুটি নেবেন। সে ক্ষেত্রে তিনি অফিস শুরু করতে পারেন পরের সপ্তাহ, অর্থাৎ ২১ এপ্রিল থেকে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ঈদের ছুটি আনন্দময় ও নির্ঝঞ্ঝাট করতে ছুটি পাঁচ দিন করতে অনেক দিন ধরে আলোচনা চলছে। সেটা বাস্তবায়িত না হলেও এবার সাপ্তাহিক ছুটি ও দিবসের কারণে লম্বা ছুটি পাওয়া গেল।